চুয়াডাঙ্গার বড়সলুয়ার দুই সন্তানের জননীর পরকীয়া প্রেমিকের সাথে উধাও : বিষয়টি টক অব দ্যা টাউন
- আপডেট সময় : ১০:১৬:২৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫ ২০২ বার পড়া হয়েছে
ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি : চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের দর্শনা থানাধীন বড় সলুয়া গ্রামের বেনাগাড়ি পাড়ার শাহিন ওরফে সোহানের স্ত্রী হালিমা খাতুন(২৫) পরোকিয়া প্রেমিক টিটু(২৮) সাথে মাছুম দুই সন্তান নিয়ে পালিয়ে গিয়েছে। সাথে নিয়ে গেছে নগদ টাকাসহ ৩ লক্ষাধীক টাকার মালামাল।চলছে পাল্টাপাল্টি মামলা। এলাকায় চলছে আলোচনা – সমালোচনার ঝড়। ঘটনাটি ৬ মাস আগে বড়সলুয়া গ্রামে হলেও স্হানীয় ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতে সালিশী পর্যায়ে ছিলো। গ্রাম আদালতে সমাধান না হওয়ায় বিষয়টি আদালত পর্যায়ে নেয় পরকীয়ায় আসক্ত হালিমা ও তার মাতা জহুরা। মিথ্যা মামলায় শাহীন ওরফে সোহান কে আদালত জেল হাজতের আদেশ দেয়। এরপর,আরো মিথ্যা অভিযোগে ৬ জনকে ফোজদারি মামলায় কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়ায় অনেকটা বাধ্য হয়ে শাহীন ওরফে সোহানের পিতা সাহাবুদ্দিন ওরফে সাহেব সহকারি পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন। সরজমিনে খোঁজখবর নিয়ে জানা যায়,জেলার গড়ুইটুপি ইউনিয়নের সড়াবাড়িয়া গ্রামের মৃত বিশারত আলীর ছোট মেয়ে হালিমা খাতুন (২৫)র সাথে ৬ বছর আগে তিতুদহ ইউনিয়নের বড়সলুয়া গ্রামের বেনাগাড়ি পাড়ার সাহাবুদ্দিন ওরফে সাহেব আলীর বড় ছেলে শাহিন ওরফে সোহান (২৬)র পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের মাঝে একটি ছেলে এবং একটি মেয়ে সন্তানের জন্ম হয়।এর মাঝে স্বামীর অগোচরে হালিমা (২৫) পার্শ্ববর্তী ঝিনাইদহ জেলা সদরের সাগান্না ইউনিয়নের চাঁদপুর গ্রামের গরু ব্যবসায়ী বিবাহিত ২ সন্তানের জনক টিটু (২৮)র সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। তাদের মাঝে মন দেয়ানেয়া এবং ফোনালাপ চলতে থাকে।পরকীয়ার কারণে প্রায়ই নিজের স্বামীকে না জানিয়ে পিতার বাড়িতে চলে যায়। দুই সন্তানকে পরকীয়া আসক্ত হালিমা তার নিজের মায়ের কাছে রেখে প্রেমিক টিটুর কাছে চলে যেতো। স্বামী সোহান খোজ নিলে হালিমা জানাতো সে তার মায়ের বাড়িতে এসেছে। সাথে করে নিয়ে যেতো স্বামীর ঘরের চাল,ডাল,তরিতরকারিসহ নগদ টাকা পয়সা। পরকীয়ার বিষয়ে স্বামী সোহান জানতে পারলে তার স্ত্রী হালিমাকে এসবে যেতে নিষেধ করে। কিন্তু, পরকীয়ায় আসক্ত হালিমা কোন রকম তার স্বামীকে কর্ণপাত করতো না। সে তার ইচ্ছামত চলাফেরা করতো। কখনো সে কাউকে এবং সমাজকে তোয়াক্কা করেনি। এ নিয়ে দম্পত্তির মাঝে মনোমালিন্য চলতে থাকে।
খোঁজখবরে আরো জানা গেছে,সোহানের শাশুড়ি জহুরা খাতুন তার ছোট মেয়ে হালিমা খাতুনকে বিয়ে দেয়ার পর থেকে প্রায়ই বড়সলুয়া গ্রামে এসে থাকতো এবং নিজের গ্রামের বাড়ি সড়াবাড়িয়া গ্রামে ফিরে যাবার সময় সোহানের অনুপস্হিতে নগদ টাকা,চাল,ডাল মাছ,মাংস সয়াবিন, তেল, ধান,তরি তরকারি বস্তা ভর্তি করে নিয়ে যেতো। এসব বিষয়ও সোহান বুঝতে পারার পর ওদের দু জনের মাঝে ঝগড়া ঝাটি হতো।শুধু কি তাই,পরকীয়া আসক্ত হালিমার মাতা জহুরা খাতুন তার ছোট মেয়ের সমস্ত অনৈতিক কর্মকান্ডকে সমর্থন দিতো এবং পরকীয়ার কাজে সহযোগিতা করেছে।এছাড়া,হালিমার অনৈতিক কর্মকান্ডের নিরব সমর্থন দিয়ে চলেছে তার মামা আঃ মালেক,তার ভাই আঃ রফিক,ভাবি শান্তনা খাতুন।এরা সকলে মিলে শাহীন ওরফে সোহানের বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট গল্প প্রচার করেছে। হালিমার মাতা জহুরা মিথ্যা সাজানো গোছানো গল্প বলে এলাকার গণ্যমাণ্য ব্যক্তিদেরকে প্রভাবিত করতো।রাজনৈতিক ভাবে আওয়ামীলীগ সমর্থক হওয়ায় গড়ুইটুপি ইউনিয়নের পলাতক চেয়ারম্যান রাজু স্হানীয়ভাবে গ্রাম আদালতের মাধ্যমে অসহায় শাহীন ওরফে সোহানকে চারিদিক থেকে বিপদে আটকিয়ে ফেলতে সহায়তা করেছে।৫০ হাজার টাকার দেনমহর রাজনৈতিক চাপ দিয়ে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা করে দিয়েছিলো।যা ছিলো ক্ষমতার অপপ্রয়োগ।আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর গড়ুইটুপি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রাজু পরকীয়ায় আসক্ত হালিমা ও তার মাতা জহুরাকে স্হানীয় গ্রাম আদালতে আর বিচারে সহযোগিতায় অপারগতা প্রকাশ করে তার দলীয় এবং পরিচিত আইনজীবির কাছে যেতে পরামর্শ দেয়।আইনজীবি মিথ্যা সাজানো যৌতুক মামলা চুয়াডাঙ্গা সদর জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট কোর্টের মাধ্যমে শাহীন ওরফে সোহানকে ১৪ দিনের জেল হাজতে পাঠাতে জোর ভূমিকা রাখেন।গত ১৯ জানুয়ারি চুয়াডাঙ্গা সদর জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট শাহীন ওরফে সোহানকে ১৪ দিনের কারাবরণের আদেশ দেন। এদিকে, তথাকথিত আইনজীবির কু পরামর্শে পরকীয়া আসক্ত হালিমা খাতুন আরেকটি মিথ্যা,বানোয়াট ও ভিত্তিহীন ভাবে তাদের উপর হুমকি, ধামকির অভিযোগ এনে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।সেখানে,শাহীন,সাহাবুদ্দিন, শিউলী,মুন্না,শুকজান ও তুহিনের নাম উল্লেখ করা হয়।যা ছিলো উসকানিমূলক ও অনধিকার চর্চা বলে মনে করেন সচেতন মহল। আদালত বিষয়টি যথাযত তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্হা নিবেন বলে ভূক্তভোগীরা আশা প্রকাশ করেন।
গত ২৯ জানুয়ারি দামুড়হুদা, দর্শনা, জীবননগর থানার সার্কেল সহাকারি পুলিশ সুপারএর বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন ভূক্তভোগী শাহীন ওরফে সোহানের পিতা সাহাবুদ্দিন ওরফে সাহেব।