বীর মুক্তিযোদ্ধা নূরুল ইসলাম সরকারের মুক্তির দাবিতে টঙ্গীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল
- আপডেট সময় : ০২:৩৫:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫ ১৪ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক : দীর্ঘ ২ দশক যাবৎ পতিত ফ্যাসিস্ট-স্বৈরাচার আওয়ামী দোসর কর্তৃক ষড়যন্ত্রমূলক, আহসান উল্লাহ মাস্টার হত্যা মিথ্যা মামলায় কারারুদ্ধ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক শিল্প বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা নূরুল ইসলাম সরকারের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করা হয়েছে। শনিবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে টঙ্গী সরকারি কলেজের সামনে ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের উপর এ বিক্ষোভ মিছিল করেন বিএনপির হাজারো নেতাকর্মীরা। ঐ সময় বিক্ষোভ মিছিলটি জনসমাবেশে পরিনত হয়ে। নুরুল ইসলাম সরকার আওয়ামী লীগের পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের স্বীকার হয়ে দীর্ঘ বিশ বছর যাবৎ কারাবরণ করছেন। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কারাবন্দী নুরুল ইসলাম সরকারের বড় ভাই কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব হাসান উদ্দিন সরকার, কেন্দ্রীয় শ্রমিক দলের কার্যকরী সভাপতি সালাহউদ্দিন সরকার, গাজীপুর মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক রাকিব উদ্দিন সরকার পাপ্পু। নুরুল ইসলাম সরকারের ছেলে সরকার শাহনুর ইসলাম রনি সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন নুরুল ইসলাম সরকার মুক্তি সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব নাজির আহমেদ, টঙ্গী পশ্চিম থানার বিএনপির আহ্বায়ক প্রভাষক বশির উদ্দিন আহমেদ, বিএনপি নেতা আব্দুর রহিম খান কালা,গাজীপুর সদর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আফজাল হোসেন কায়সার, মহানগর বিএনপি নেতা বশির আহমেদ বাচ্চু, হুমায়ুন কবির রাজু,মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক সাজেদুল ইসলাম সাজু, মহানগর সেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক শাহাদাত হোসেন শাহীন, রাশেদুল ইসলাম কিরণ, বিএনপি নেতা ইসমাইল শিকদার বসু, শেখ আলেক, নূর মোহাম্মদ, যুবদল নেতা জসীমউদ্দীন ভাট,বিএনপি নেতা ফারুক হোসেন খান, সৌমিক সরকার,নাজমুল হোসেন মন্ডল, শেখ মো সুমনসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের হাজারো নেতাকর্মীসহ টঙ্গীর সাধারণ মানুষও স্বতস্ফূর্তভাবে অংশ নেন। সমাবেশ শেষে দুপুর বারোটার দিকে নুরুল ইসলাম সরকারের মুক্তির দাবিতে একটি বিশাল বিক্ষোভ মিছিল কলেজের সামনে থেকে বের হয়ে এরশাদ নগর গিয়ে শেষ হয়। এ সময় প্রধান অতিথি হাসান উদ্দিন সরকার বলেন,টঙ্গীর সাবেক সংসদ সদস্য আহসান উল্লাহ মাস্টারের হত্যা ছিল আওয়ামীলীগের পরিকল্পিত সাজানো একটি হত্যা যা আজমত উল্লাহ খানের সুদৃঢ় পরিকল্পনা। আজমত উল্লাহ খানের আকাঙ্খা ছিল গাজীপুর থেকে এমপি হবে মন্ত্রী হবে, যার বড় বাধা ছিল আহসানুল্লাহ মাষ্টার । অপর দিকে গাজীপুরের জনপ্রিয় বিএনপির নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম সরকার। আজমত উল্লাহ খান সুকৌশলে ঢাকা থেকে কুখ্যাত খুনিদের ভাড়া করে নিয়ে এসে এই হত্যাকান্ড চালাই। পরবর্তীতে হত্যার দায়ভার চাপিয়ে দেয় বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম সরকার সহ রাকিব উদ্দিন সরকার পাপ্পু সহ বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর। এই মিথ্যা সাজানো মামলায় দীর্ঘ ২০ বছর কারারুদ্ধ হয়ে আছেন নুরুল ইসলাম সরকার। সমাবেশে বক্তারা আরো বলেন অতিদ্রুত এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম সরকারসহ বিএনপির নেতাকর্মীদের মুক্তি না দিলে গাজীপুরের রাজপথ অচল করে দিব।