দর্শনা ০৮:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জীবননগর উপজেলা শহীদ জিয়া স্মৃতি সংসদ কমিটি গঠিত ,ডাঃ বশির আহবায়ক,প্রভাষক হাসান ইমাম সদস্য সচিব। চুয়াডাঙ্গায় বিষাক্ত মদপানে ৬ জনের মৃত্যু । কুলিয়ারচরে জমি সংক্রান্ত জেরে বৃদ্ধার উপর আক্রমন, প্রতিবাদ করায় বাড়িছাড়া বিধবা। হোটেলে নিয়ে রাতভর ধর্ষণ, হাসপাতালে নেয়ার পথে মৃত্যু। মেহেরপুর- চুয়াডাঙ্গা রুটে পরিবহণ সেক্টরে চলছে স্বৈরাতন্ত্রের প্রতিচ্ছবি। চুয়াডাঙ্গার দর্শনার বাসস্ট্যান্ড এলাকার ওয়েল্ডিং মিস্ত্রী মনিরুলকে অপহরণ পর উদ্ধার। পূজা পূনর্মিলন ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত। উৎসব মুখর পরিবেশে শেষ হল শারদীয় দূর্গোৎসব। বিএনপি’র কর্মীদের বাড়ি বাড়ি ঘুরে ভোট চাইতে বললেন সাবেক পৌর মেয়র। ১০টি অঞ্চলে তীব্র ঝড়ের আভাস।

সেনাপ্রধানের বক্তব্য নিয়ে শক্ত স্থানে ভারত-পাকিস্তান

  • আপডেট সময় : ১১:০০:১২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ২৭৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের চলমান অস্থিরতা নিয়ে জনগণকে বার্তা দিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকারুজ্জামান। অভ্যন্তরীণ বিশৃঙ্খলা এবং সংঘর্ষের জন্য তিনি দেশবাসীকে সতর্ক করেছেন। বিশেষ করে তিনি অভ্যুত্থানের পর থেকে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক আগ্রহ তৈরি হয়েছে। মঙ্গলবার সেনাপ্রধানের দেয়া বক্তব্যটি ভারতের শীর্ষ সংবাদমাধ্যমগুলো গুরুত্বসহকারে প্রচার করেছে, একই সঙ্গে পাকিস্তানের গণমাধ্যমও এটি তুলে ধরেছে।

জাতীয় শহীদ সেনা দিবস উপলক্ষে মহাখালীর রাওয়া ক্লাবে পিলখানায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান তার বক্তব্যে দেশের অভ্যন্তরীণ বিশৃঙ্খলা ও মারামারি বন্ধ করার জন্য সকল পক্ষকে আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি সতর্ক করেন, যদি দেশের মানুষ নিজেদের মধ্যে বিভাজন ভুলে একসাথে কাজ না করতে পারেন, তবে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হয়ে পড়বে।

ভারতীয় গণমাধ্যমে সেনাপ্রধানের বক্তব্য বেশ কিছু জায়গায় উত্তেজনা তৈরি করেছে। দা হিন্দু, হিন্দুস্তান টাইমস, টাইমস অফ ইন্ডিয়া সহ অন্যান্য মিডিয়াগুলোতে সেনাপ্রধানের বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে। এতে নির্বাচন ও অভ্যন্তরীণ বিশৃঙ্খলার প্রসঙ্গও এসেছে। যদিও ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলি সাধারণত সেনাপ্রধানের বক্তব্যকে একটু বেশি উত্তেজিতভাবে উপস্থাপন করেছে, পাকিস্তানের গণমাধ্যম, যেমন ডন ও এক্সপ্রেস ট্রিবিউন, সেনাপ্রধানের বক্তব্যকে তার সরকারের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে তুলে ধরেছে।সেনাপ্রধান তার বক্তব্যে বলেন, সাম্প্রতিক অস্থিতিশীলতার জন্য অভ্যন্তরীণ বিশৃঙ্খলা দায়ী। তিনি জানান, এমন সংকটের সময়ে অপরাধীরা সুযোগ নিচ্ছে, আর তাদের কার্যকলাপ দেশের জন্য ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়াচ্ছে। তিনি সব পক্ষকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান, কারণ একসাথে থাকলেই সংকটের মোকাবিলা করা সম্ভব। তিনি আরও বলেন, “আমাদের একত্রিত থাকতে হবে, এবং যদি বিভেদ কমাতে না পারি, তবে সমস্যা আরও বাড়বে। আমরা দেশের শান্তি এবং শৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করতে চাই, এবং এর জন্য আমাদের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে সহায়তা করতে হবে। এছাড়া, সেনাপ্রধান দেশের ভবিষ্যত নিয়ে এক দৃঢ় অবস্থান নিয়েছেন এবং বলেছেন, তার একমাত্র আকাঙ্ক্ষা হলো দেশ এবং জাতিকে একটি সুন্দর অবস্থানে রেখে সেনানিবাসে ফিরে যাওয়া। তিনি সতর্ক করেছেন যে, মতবিরোধ থাকা সত্ত্বেও, সবাইকে এক হয়ে দেশের মঙ্গলার্থে কাজ করতে হবে। এদিকে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে নজর রাখছে। বিশেষ করে ভারত, পাকিস্তান, মিয়ানমার, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ ও চীন, এই সব দেশগুলো বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

সেনাপ্রধানের বক্তব্য নিয়ে শক্ত স্থানে ভারত-পাকিস্তান

আপডেট সময় : ১১:০০:১২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের চলমান অস্থিরতা নিয়ে জনগণকে বার্তা দিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকারুজ্জামান। অভ্যন্তরীণ বিশৃঙ্খলা এবং সংঘর্ষের জন্য তিনি দেশবাসীকে সতর্ক করেছেন। বিশেষ করে তিনি অভ্যুত্থানের পর থেকে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক আগ্রহ তৈরি হয়েছে। মঙ্গলবার সেনাপ্রধানের দেয়া বক্তব্যটি ভারতের শীর্ষ সংবাদমাধ্যমগুলো গুরুত্বসহকারে প্রচার করেছে, একই সঙ্গে পাকিস্তানের গণমাধ্যমও এটি তুলে ধরেছে।

জাতীয় শহীদ সেনা দিবস উপলক্ষে মহাখালীর রাওয়া ক্লাবে পিলখানায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান তার বক্তব্যে দেশের অভ্যন্তরীণ বিশৃঙ্খলা ও মারামারি বন্ধ করার জন্য সকল পক্ষকে আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি সতর্ক করেন, যদি দেশের মানুষ নিজেদের মধ্যে বিভাজন ভুলে একসাথে কাজ না করতে পারেন, তবে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হয়ে পড়বে।

ভারতীয় গণমাধ্যমে সেনাপ্রধানের বক্তব্য বেশ কিছু জায়গায় উত্তেজনা তৈরি করেছে। দা হিন্দু, হিন্দুস্তান টাইমস, টাইমস অফ ইন্ডিয়া সহ অন্যান্য মিডিয়াগুলোতে সেনাপ্রধানের বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে। এতে নির্বাচন ও অভ্যন্তরীণ বিশৃঙ্খলার প্রসঙ্গও এসেছে। যদিও ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলি সাধারণত সেনাপ্রধানের বক্তব্যকে একটু বেশি উত্তেজিতভাবে উপস্থাপন করেছে, পাকিস্তানের গণমাধ্যম, যেমন ডন ও এক্সপ্রেস ট্রিবিউন, সেনাপ্রধানের বক্তব্যকে তার সরকারের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে তুলে ধরেছে।সেনাপ্রধান তার বক্তব্যে বলেন, সাম্প্রতিক অস্থিতিশীলতার জন্য অভ্যন্তরীণ বিশৃঙ্খলা দায়ী। তিনি জানান, এমন সংকটের সময়ে অপরাধীরা সুযোগ নিচ্ছে, আর তাদের কার্যকলাপ দেশের জন্য ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়াচ্ছে। তিনি সব পক্ষকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান, কারণ একসাথে থাকলেই সংকটের মোকাবিলা করা সম্ভব। তিনি আরও বলেন, “আমাদের একত্রিত থাকতে হবে, এবং যদি বিভেদ কমাতে না পারি, তবে সমস্যা আরও বাড়বে। আমরা দেশের শান্তি এবং শৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করতে চাই, এবং এর জন্য আমাদের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে সহায়তা করতে হবে। এছাড়া, সেনাপ্রধান দেশের ভবিষ্যত নিয়ে এক দৃঢ় অবস্থান নিয়েছেন এবং বলেছেন, তার একমাত্র আকাঙ্ক্ষা হলো দেশ এবং জাতিকে একটি সুন্দর অবস্থানে রেখে সেনানিবাসে ফিরে যাওয়া। তিনি সতর্ক করেছেন যে, মতবিরোধ থাকা সত্ত্বেও, সবাইকে এক হয়ে দেশের মঙ্গলার্থে কাজ করতে হবে। এদিকে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে নজর রাখছে। বিশেষ করে ভারত, পাকিস্তান, মিয়ানমার, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ ও চীন, এই সব দেশগুলো বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন।