দর্শনা ০৩:৫২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
আইএফআইসি ব্যাংকের ৬ কর্মচারি অজ্ঞান । সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে কাজ করতে চাই সভাপতি, রাইজিং ফ্যাসনস লিমিটেডের এমডি মাহমুদ হাসান খাঁন বাবু। যশোরে পতিত স্বৈরাচারের অনুগত আ’লীগের চেয়ারম্যানরা পালিয়ে থাকার পর এবার বিএনপি নেতাদের সহযোগিতায় ফিরতে শুরু করেছে। পতিত স্বৈরাচারের লেসপেন্সাররা এবার জমা জমি বিক্রি করে দেশের বাইরে পালাচ্ছে। ফেরিতে জুয়ার ফাঁদে ছিনতাই। জীবননগরে যৌথবাহিনীর অভিযানে ইউপি সদস্যসহ আটক ৩। এক নারীর এক্সিলা রিজিয়নের গুরুতর অপারেশন নিয়ে ধোঁয়াশা অপারেশন নোট নেই, সমালোচনা। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এঁর ১২৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কবির প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও বর্ণাঢ্য র‌্যালি অনুষ্ঠিত। দেশের স্বার্থে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে, মেমনগর বিডি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এর সভাপতি মশিউর রহমান। টঙ্গী রেল স্টেশন থেকে ৭ হাজার পিচ ইয়াবা সহ ১ নারীকে গ্রেফতার করেছে রেলওয়ে পুলিশ।

বরেন্দ্র অঞ্চলে ভূগর্ভস্থ পানির তীব্র সংকট, ধান চাষ না করার পরামর্শ

  • আপডেট সময় : ১২:৫৩:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৫ ১১১ বার পড়া হয়েছে

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্র‌তি‌নি‌ধি:  চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সদর, নাচোল ও গোমস্তাপুর উপজেলায় দিন দিন পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় । ভূগর্ভস্থ পানির তীব্র সংকটের আশঙ্কায় বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ) সেখানে কৃষকদের ধান চাষ না করার পরামর্শ দিয়েছে। এতে কৃষকদের মাঝে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ভূগর্ভস্থ পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। বিশেষ চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর, নাচোল, গোমস্তাপুুর উপজেলা খাদ্য উৎপাদন এলাকা বরেন্দ্র অঞ্চলে এই সংকট প্রকট ও দীর্ঘ হচ্ছে। সূত্রমতে, এ কারণে ওই সব এলাকায় আগামীতে ইরি ধান চাষে নিরুৎসাহ দিচ্ছে বিএমডিএ। এতে আগামীতে খাদ্য উৎপাদনে চরম অনিশ্চয়তার শঙ্কা করা হচ্ছে। এতে কৃষকদের মাঝে অসন্তোষ বিরাজ করছে। বাধ্য হয়ে কৃষকরা গম, সরিষা চাষাবাদ করছেন। কৃষকরা জানান, বিএমডিএর এ সিদ্ধান্তে দেখা দিতে পারে চালের চরম সংকট। বিএমডিএর দাবি, আগামী দিনে পানির ব্যবহার নিশ্চিত করতেই নেওয়া হয়েছে এমন উদ্যোগ।

বিএমডিএ সিদ্ধান্ত নিয়ে ইরি ধান চাষ না করতে ডিপ অপারেটর ও কৃষকদের মাঝে লিফলেট বিতরণ করছে। এমনকি নির্দেশ অমান্য করে ধান চাষ করলে বেঁধে দেয়া সময়ের বেশি বিদ্যুৎ না দেয়ারও ঘোষণা দেয়া হয়েছে।।কৃষকরা জানান, আমাদের ধান ছাড়া লাভজনক তেমন অন্য কোনো ফসল উৎপাদন হয় না বরেন্দ্র অঞ্চলে। তাই বছরে তিনবার ধান চাষ করি। কিন্তু পানির সংকট বলে বিএমডিএ এবার ইরি ধান চাষ করতে নিষেধ করেছে।

প্রতিবছর ইরি ধান আবাদ করতে ১৭ থেকে ১৯টি সেচ লাগে। আর গম চাষ করতে মাত্র ২ টি সেচ লাগে। এ ছাড়া প্রতিবছর বৃষ্টির মাধ্যমে ভূগর্ভে পানি জমা হয় ৯০০ মিলিমিটারের মতো, অন্য দিকে এ জেলায় ফসল চাষে পানি লাগে ১৩০০ মিলিমিটার। ফলে প্রতিবছর ৪০০ মিলিমিটার পানি ঘাটতি থাকে। এতে প্রতিনিয়ত বরেন্দ্র অঞ্চলের মাটির নিচের পানির তীব্র সংকট দেখা দিচ্ছে। বিএমডিএর সহকারী প্রকৌশলী মুসাইদ মাসরুর জানান, দিন দিন ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে। তাই পানি ধরে রাখতে এবং আগামীতে সেচ নিশ্চিত করতে ভূগর্ভস্থ পানির ওপর চাপ কমানোর জন্য এমন ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তার দাবি, মৌসুমি ফসল হিসেবে বিভিন্ন জাতের ডাল, শাকসবজি, আলু উৎপাদন হয় অল্প সেচে। তাই কৃষকদের মৌসুমি ফসল উৎপাদনে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. পলাশ সরকার জানান, এবছর বিএমডিএ কর্তৃপক্ষ ইরি মৌসুমে ধানের আবাদ কমিয়ে দিয়েছে। নিরুৎসাহিত করে ডাল, গম, সরিষা, ভুট্টা জাতীয় ফসল চাষাবাদ করছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

বরেন্দ্র অঞ্চলে ভূগর্ভস্থ পানির তীব্র সংকট, ধান চাষ না করার পরামর্শ

আপডেট সময় : ১২:৫৩:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৫

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্র‌তি‌নি‌ধি:  চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সদর, নাচোল ও গোমস্তাপুর উপজেলায় দিন দিন পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় । ভূগর্ভস্থ পানির তীব্র সংকটের আশঙ্কায় বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ) সেখানে কৃষকদের ধান চাষ না করার পরামর্শ দিয়েছে। এতে কৃষকদের মাঝে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ভূগর্ভস্থ পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। বিশেষ চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর, নাচোল, গোমস্তাপুুর উপজেলা খাদ্য উৎপাদন এলাকা বরেন্দ্র অঞ্চলে এই সংকট প্রকট ও দীর্ঘ হচ্ছে। সূত্রমতে, এ কারণে ওই সব এলাকায় আগামীতে ইরি ধান চাষে নিরুৎসাহ দিচ্ছে বিএমডিএ। এতে আগামীতে খাদ্য উৎপাদনে চরম অনিশ্চয়তার শঙ্কা করা হচ্ছে। এতে কৃষকদের মাঝে অসন্তোষ বিরাজ করছে। বাধ্য হয়ে কৃষকরা গম, সরিষা চাষাবাদ করছেন। কৃষকরা জানান, বিএমডিএর এ সিদ্ধান্তে দেখা দিতে পারে চালের চরম সংকট। বিএমডিএর দাবি, আগামী দিনে পানির ব্যবহার নিশ্চিত করতেই নেওয়া হয়েছে এমন উদ্যোগ।

বিএমডিএ সিদ্ধান্ত নিয়ে ইরি ধান চাষ না করতে ডিপ অপারেটর ও কৃষকদের মাঝে লিফলেট বিতরণ করছে। এমনকি নির্দেশ অমান্য করে ধান চাষ করলে বেঁধে দেয়া সময়ের বেশি বিদ্যুৎ না দেয়ারও ঘোষণা দেয়া হয়েছে।।কৃষকরা জানান, আমাদের ধান ছাড়া লাভজনক তেমন অন্য কোনো ফসল উৎপাদন হয় না বরেন্দ্র অঞ্চলে। তাই বছরে তিনবার ধান চাষ করি। কিন্তু পানির সংকট বলে বিএমডিএ এবার ইরি ধান চাষ করতে নিষেধ করেছে।

প্রতিবছর ইরি ধান আবাদ করতে ১৭ থেকে ১৯টি সেচ লাগে। আর গম চাষ করতে মাত্র ২ টি সেচ লাগে। এ ছাড়া প্রতিবছর বৃষ্টির মাধ্যমে ভূগর্ভে পানি জমা হয় ৯০০ মিলিমিটারের মতো, অন্য দিকে এ জেলায় ফসল চাষে পানি লাগে ১৩০০ মিলিমিটার। ফলে প্রতিবছর ৪০০ মিলিমিটার পানি ঘাটতি থাকে। এতে প্রতিনিয়ত বরেন্দ্র অঞ্চলের মাটির নিচের পানির তীব্র সংকট দেখা দিচ্ছে। বিএমডিএর সহকারী প্রকৌশলী মুসাইদ মাসরুর জানান, দিন দিন ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে। তাই পানি ধরে রাখতে এবং আগামীতে সেচ নিশ্চিত করতে ভূগর্ভস্থ পানির ওপর চাপ কমানোর জন্য এমন ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তার দাবি, মৌসুমি ফসল হিসেবে বিভিন্ন জাতের ডাল, শাকসবজি, আলু উৎপাদন হয় অল্প সেচে। তাই কৃষকদের মৌসুমি ফসল উৎপাদনে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. পলাশ সরকার জানান, এবছর বিএমডিএ কর্তৃপক্ষ ইরি মৌসুমে ধানের আবাদ কমিয়ে দিয়েছে। নিরুৎসাহিত করে ডাল, গম, সরিষা, ভুট্টা জাতীয় ফসল চাষাবাদ করছেন।