মানবতার ফেরিওয়ালার দামুড়হুদা, দর্শনা ও জীবননগর থানার সার্কেল এ এস পি জাকিয়া সুলতানা
- আপডেট সময় : ০৯:২৩:০৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৫ জানুয়ারী ২০২৫ ১৪৩ বার পড়া হয়েছে
মোঃ তহিরুল ইসলাম : মানব সেবাই পরম ধর্ম পৃথিবীর প্রতিটি ধর্মেই মানব সেবার কথা বলা আছে। অনেকের মতে মানব সেবার মাঝেই সৃষ্টিকর্তার আনুকূল্য পাওয়া যায়। চাইলে অনেক ভাবেই মানুষের সেবা করা যায়। যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে পুলিশ। সেই মানবতার ফেরিওয়ালার নাম দামুড়হুদা, দর্শনা ও জীবননগর থানার সার্কেল এ এস পি জাকিয়া সুলতানা তার কাছ আইন,শৃঙ্খলা মানবতা আর মমতাই জীবনের এক নিদর্শন। ব্যক্তি জীবনে তিনি বাংলাদেশ পুলিশের এক জন সদস্য। ২০১৮ ইং সালে ৩৬তম বি সি এস বাংলাদেশ পুলিশ এ যোগদান করেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এরপর থেকেই নিজেকে মানুষের কল্যাণে নিয়োজিতো করে অন্যের সুখ-দুঃখের অংশীদারিত্ব গড়ে তোলেন। বর্তমানে কর্তরত রয়েছে চুয়াডাঙ্গা জেলা, দামুড়হুদা, জীবননগর, দর্শনা থানার দায়িত্ব বৃহস্পতিবার বিকেলে দর্শনা সার্কেল অফিস পরিষ্কার করছিলেন পুলিশের ওই নারী কর্মকর্তা। প্রতিবেদকের সাথে কথা হয় মানবিক ওই পুলিশ সদস্যের সাথে। পুলিশের ওই নারী কর্মকর্তা জানান, কাজ শেষে অবসর পেলেই তিনি ছুটে যান মানবতার কল্যাণে কাজ করতে। পুলিশে যখন যোগ দিয়েছে তখন থেকেই দেশের সেবা ও মানব ব্রত নিয়ে এগিয়ে চলেছেন তিনি। মানুষের কাছে সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকেই তার এমন চেতনা । নিজ উদ্যোগেই তিনি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা আর পরিবেশ নিয়ে কাজ করছে। রয়েছে মানুষের পাশে। মাত্র কয়েক মাসেই পাল্টে দিয়েছে দর্শনা, জীবননগর ও দামড়হুদা থানার পরিবেশ। শুধু মাত্র তাই নয়। যেখানে রাত হলেই চাঁদাবাজির আর সন্ত্রাসীদের উৎপাতছ থাকতো। সেখানে ফিরেছে শৃঙ্খলা । পুলিশের কড়া পাহারা আর নজরদারিতে এসেছে এলাকাবাসীর মাঝে সস্তি। আর এলাকাবাসীর স্তিতেই নিজের মাঝে সুখ অনুভব করেন তিনি। দর্শনা স্থানীয় আব্দুল কুদ্দুস বলেন খুব ভালো মানুষ দর্শনা, দামুড়হুদা, জীবননগর আসার পর থেকেই এলাকায় শান্তি ফিরে এসেছে। আগে ব্রিজ পার হলেই রাতে চাঁদাবাজি করতো এখন জাকিয়া সুলতানা আসায় চাঁদাবাজি করতে পারে না এমন ভাবেই বলছিলেন ৬২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি। অন্যদিকে কলেজ পড়ুয়া’র–মা সুলতানা শিরীন জানান, এখন পুলিশের তৎপরতা অনেক বেশি। তাই চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী, ইটিং পিটিন কর্মকান্ড আর মাদক অনেকটাই কমে গিয়েছে। যে কোনো সমস্যায় জাকিয়া সুলতানা গুরুত্বের সাথে দেখেন বলে জানান ওই কলেজ পড়ুয়ার মা।