দর্শনা ০৪:৫৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চোখে সমস্যা তথ্য গোপন করে প্রতারণা মাধ্যমে পুলিশে চাকুরী নেওয়া সেই পুলিশ কনেস্টবল বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু 

  • আপডেট সময় : ০১:৫৩:২৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ৫৪ বার পড়া হয়েছে

শাপলা নিউজ প্র‌তি‌বেদন : হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জ জেলার চুনারঘাট উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের ধলাঝাই গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান আমির হোসেন চোখের সমস্যা তথ্য গোপন করে প্রতারণা মাধ্যমে পুলিশ কনেস্টবল পদে চাকরি নেওয়া আমীর হোসেনের বিরুদ্ধে পুলিশের আইজিপি বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন স্হানীয় এক সাংবাদিক মীর জুবাইর আলম,উক্ত অভিযোগের পরে তদন্ত শুরু করেছে বাংলাদেশে পুলিশে একটি তদন্ত টিম।অভিযোগ কারী সাংবাদিক মীর জুবাইর আলম জানান সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোঃ মনজুরুল আলম গত ২৪/১০/২০২৪ ইং তারিখে

সূত্রঃ স্মারক নং-এসএমপি-৪১৩৬/১(৩)/আর (কেন্দ্রীয়), অভিযোগকারী সাংবাদিক মীর জুবাইর আলম কে সহ শরীরে উপস্থিত হয়ে সাক্ষী দেওয়া জন্য চুনারুঘাট থানা অফিসার ইনচার্জ এর মাধ্যমে নোটিশ করেন। নোটিশ পেয়ে সাংবাদিক মীর জুবাইর আলম সহ স্হানীয় আরো ১১ জন লোক সহ শরীরের উপস্থিত হয়ে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মনজুর আলম এর কার্যালয়ে সাক্ষী প্রদান করেন এবং উল্লেখিত অভিযোগ সঠিক বলে সাক্ষীদেন।এবং প্রতারণা মাধ্যমে পুলিশ যোগদান করায় তার শাস্তি দাবি করেন,
অভিযোগ সূত্রে জানা যায় আমির হোসেনের লেখাপড়া করা অবস্থায় পরিবারে ভরনপোষণ করতে প্রতিদিন নিজ এলাকায় বক পাখি শিকার করতেন। এক পর্যায়ে বক শিকার করতে গিয়ে বক পাখি তার এক চোখে আঘাত করে এতে তার চোখের মনির কিছু অংশ নষ্ট হয়ে যায়। পরে চোখ অপারেশন করা হয়।তার এক চোখ ছোট হয়ে যায়।বিগত ২০১৪ সালে বাংলাদেশ পুলিশ কনস্টেবল পদে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলে। উক্ত বিজ্ঞপ্তির প্রকাশের পর নিজেকে দক্ষ হিসেবে পুলিশ কনস্টেবল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান হিসাবে অগ্রঅধিকার দাবী করেন। মেডিকেল রিপোর্টে তার এক চোখ ছোট সমস্যা ধরা পড়লে, নিজের চোখটি জন্মগতভাবে সমস্যা বলে দাবি করেন আমীর হোসেন।তখন সময়ে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদেরকে চাকরি দেওয়ার প্রাধান্যতা থাকলে এগুলির প্রতি পুলিশ প্রশাসনের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখেননি। যার ফলে চোখের সমস্যা নিয়েই দীর্ঘদিন ধরে পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরি করে আসছেন। সেই পুলিশ কনস্টেবল আমির হোসেন।সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোঃ রেজাউল করিম পিবিএম কর্মকর্তার কে তার সেই সমস্যার কথাটি জানানো হলে তিনি বলেন একজন পুলিশ কনস্টেবল এমন সমস্যা থাকলে চাকরি হওয়ার কথা নয়। তবে কিভাবে সে এমন তথ্য গোপন করে চাকরিতে যোগদান করেছে বিষয়টি কতিয়ে দেখা হবে। তার এমন সমস্যা পাওয়া গেলে অবশ্যই তাকে চাকরির থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে। এবং তথ্য গোপন করে চাকরিতে যোগদান করায় তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

চোখে সমস্যা তথ্য গোপন করে প্রতারণা মাধ্যমে পুলিশে চাকুরী নেওয়া সেই পুলিশ কনেস্টবল বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু 

আপডেট সময় : ০১:৫৩:২৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪

শাপলা নিউজ প্র‌তি‌বেদন : হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জ জেলার চুনারঘাট উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের ধলাঝাই গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান আমির হোসেন চোখের সমস্যা তথ্য গোপন করে প্রতারণা মাধ্যমে পুলিশ কনেস্টবল পদে চাকরি নেওয়া আমীর হোসেনের বিরুদ্ধে পুলিশের আইজিপি বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন স্হানীয় এক সাংবাদিক মীর জুবাইর আলম,উক্ত অভিযোগের পরে তদন্ত শুরু করেছে বাংলাদেশে পুলিশে একটি তদন্ত টিম।অভিযোগ কারী সাংবাদিক মীর জুবাইর আলম জানান সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোঃ মনজুরুল আলম গত ২৪/১০/২০২৪ ইং তারিখে

সূত্রঃ স্মারক নং-এসএমপি-৪১৩৬/১(৩)/আর (কেন্দ্রীয়), অভিযোগকারী সাংবাদিক মীর জুবাইর আলম কে সহ শরীরে উপস্থিত হয়ে সাক্ষী দেওয়া জন্য চুনারুঘাট থানা অফিসার ইনচার্জ এর মাধ্যমে নোটিশ করেন। নোটিশ পেয়ে সাংবাদিক মীর জুবাইর আলম সহ স্হানীয় আরো ১১ জন লোক সহ শরীরের উপস্থিত হয়ে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মনজুর আলম এর কার্যালয়ে সাক্ষী প্রদান করেন এবং উল্লেখিত অভিযোগ সঠিক বলে সাক্ষীদেন।এবং প্রতারণা মাধ্যমে পুলিশ যোগদান করায় তার শাস্তি দাবি করেন,
অভিযোগ সূত্রে জানা যায় আমির হোসেনের লেখাপড়া করা অবস্থায় পরিবারে ভরনপোষণ করতে প্রতিদিন নিজ এলাকায় বক পাখি শিকার করতেন। এক পর্যায়ে বক শিকার করতে গিয়ে বক পাখি তার এক চোখে আঘাত করে এতে তার চোখের মনির কিছু অংশ নষ্ট হয়ে যায়। পরে চোখ অপারেশন করা হয়।তার এক চোখ ছোট হয়ে যায়।বিগত ২০১৪ সালে বাংলাদেশ পুলিশ কনস্টেবল পদে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলে। উক্ত বিজ্ঞপ্তির প্রকাশের পর নিজেকে দক্ষ হিসেবে পুলিশ কনস্টেবল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান হিসাবে অগ্রঅধিকার দাবী করেন। মেডিকেল রিপোর্টে তার এক চোখ ছোট সমস্যা ধরা পড়লে, নিজের চোখটি জন্মগতভাবে সমস্যা বলে দাবি করেন আমীর হোসেন।তখন সময়ে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদেরকে চাকরি দেওয়ার প্রাধান্যতা থাকলে এগুলির প্রতি পুলিশ প্রশাসনের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখেননি। যার ফলে চোখের সমস্যা নিয়েই দীর্ঘদিন ধরে পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরি করে আসছেন। সেই পুলিশ কনস্টেবল আমির হোসেন।সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোঃ রেজাউল করিম পিবিএম কর্মকর্তার কে তার সেই সমস্যার কথাটি জানানো হলে তিনি বলেন একজন পুলিশ কনস্টেবল এমন সমস্যা থাকলে চাকরি হওয়ার কথা নয়। তবে কিভাবে সে এমন তথ্য গোপন করে চাকরিতে যোগদান করেছে বিষয়টি কতিয়ে দেখা হবে। তার এমন সমস্যা পাওয়া গেলে অবশ্যই তাকে চাকরির থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে। এবং তথ্য গোপন করে চাকরিতে যোগদান করায় তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।