কুলিয়ারচরে সাবেক শাশুড়ির বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লোটপাট।
- আপডেট সময় : ১২:২৬:০৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ৬২০ বার পড়া হয়েছে
কুলিয়ারচরে সাবেক শাশুড়ির বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লোটপাট
ফারজানা আক্তার, প্রতিনিধি কুলিয়ারচর: কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলার পীরপুরে শাশুড়ী ও সাবেক পুত্রবধূর মধ্যে মারামারি, বাড়িঘর ভাংচুর ও হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
রবিবার ১৪ সেপ্টেম্বর, বিকালে উপজেলার রামদী ইউনিয়নের পীরপুর গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।
জানা যায়, এলাকার রাজমিস্ত্রী মোঃ মোমেন (৩২) প্রায় ১১ বছর আগে প্রতিবেশী বাচ্চু মিয়ার মেয়ে পুতুল (২৮) কে বিয়ে করেন। পরে ১০ বছরের একটি কন্যা সন্তান রেখে মোমেনকে ডিভোর্স দিয়ে পাশ্ববর্তী চোমুড়ী গ্রামের আকাশকে বিয়ে করেন পুতুল। বিয়ের কিছু দিন পার হতে না হতেই সাবেক স্বামীর বাড়িতে এসে ঘরে থাকা জিনিসপত্র নিয়ে যান পুতুল। এমনকি সাবেক স্বামীর বসত ঘরটিকে তার নিজের বলে দাবি করেন। এমতাবস্থায় গত শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় ছেলের ঘর থেকে লাকরি আনতে গেলে সাবেক পুত্রবধু পুতুল তার মা-বাবাকে নিয়ে সাবেক শাশুড়ী রিনা বেগম(৫৫) কে গালিগালাজ করার এক পর্যায়ে পড়নের কাপড় আর চুলে ধরে টানা হেছরা করে চলে যায়। এ ঘটনা কে কেন্দ্র করে পরদিন বিকেলে বাড়ির পাশের দোকানে দু পরিবারের ছেলেদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে পুতুল ও তার লোকজন সাবেক স্বামী মোমেনের বাড়িতে হামলা চালায়। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন নারী-পুরুষ আহত হয়।
এ ঘটনায় রীনা বেগম (৫৫) জানান, ছেলের সাবেক স্ত্রী পুতুল তার বাবা বাচ্চু মিয়া (৫০), মা অঞ্জনা বেগম (৪৫), ভাই তোফাজ্জল (২০), পাভেল (২২), চাচাতো ভাই রবি (৩০), রাব্বী (২৮)সহ আত্মীয় স্বজন দা, লোহার পাইপ ও দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে আমার বাড়িতে এসে বাড়িতে এসে হামলা করে, আমাদেরকে অতর্কিত ভাবে মারপিট করেন।বসত ঘরের দরজা, ১টি আখেঁর মেশিনের ভ্যান গাড়ি ভাংচুর করে এবং ঘরের টিন খুলে ফেলে।আমার স্বামী, ছেলে-মেয়ে ও ছেলের বউদের মেরে আহত করেন। এরপর তারাই আমাদের নামে থানায় মিথ্যা মামলা করছে। এ ঘটনায় বাড়িতে এখন পুরুষশূন্য। তারা আমাদের বাড়ির আশেপাশে দেশীয় অস্ত্রাধী নিয়ে ঘুরাফেরা করে আমাদের মেরে ফেলার হুমকি দেয়। আমরা এখন খুবই আতঙ্কে আছি। এ ঘটনায় সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন তিনি ।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত বাচ্চু মিয়া জানান, আমাদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। তিনি বলেন, মেয়ের জামাই পক্ষের লোকজনই আমাদের মারধর করে আমার পরিবারের মাথা ফাটাইয়া আহত করেন। আমার স্ত্রী এখন কুলিয়ারচর সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় মেম্বার মো:শাহ আলম জানান, তাদের বিষয়ে আগেও একটা দরবার করে সমাধান দিয়েছিলাম। এ বিষয়টাও আমি অবগত আছি। এবং দু পক্ষকে নিয়ে একটা সুস্থ মিমাংসার প্রক্রিয়া চলতেছে।