দর্শনা ০৫:০১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৮ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

২ মাস পেছালো খায়রুল হকের জামিন শুনানি।

  • আপডেট সময় : ০৮:৫৭:১৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫ ১৭২ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার:-
জুলাই আন্দোলনে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে যুবদলকর্মী আবদুল কাইয়ুম আহাদ হত্যা মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের জামিন ও মামলা বাতিল আবেদনের শুনানি দুই মাস পিছিয়েছে। এ বিষয়ে শুনানি হবে অক্টোবর মাসের শেষ সপ্তাহে।
রোববার খায়রুল হকের আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি জাকির হোসেন ও বিচারপতি কে এম রাশেদুজ্জামান রাজার হাইকোর্ট বেঞ্চে এ সময় দিন নির্ধারণ করেন।
আদালতে খায়রুল হকের পক্ষে একজন জুনিয়র আইনজীবী সময় নেন। তবে আওয়ামীপন্থি কোনো সিনিয়র আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না। আদালতে অ্যাটর্নি জেনারল মো. আসাদুজ্জামানসহ রাষ্ট্রপক্ষে অনেক আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে, গত ১১ আগস্ট জুলাই আন্দোলনে ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে যুবদলকর্মী আবদুল কাইয়ুম আহাদ হত্যা মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের জামিন ও মামলা বাতিল আবেদনের শুনানিতে আওয়ামীপন্থি ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে হট্টগোল ও ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে।
বিচারপতি জাকির হোসেন ও বিচারপতি কে এম রাশেদুজ্জামান রাজার হাইকোর্ট বেঞ্চের এজলাস কক্ষে হট্টগোলের ঘটনা ঘটে। হট্টগোল চলার মধ্যে আদালত এই আবেদনের পরবর্তী শুনানির জন্য আজকের দিন ধার্য করেন।
সেদিন বিকেল ৩টার দিকে খায়রুল হকের পক্ষে শুনানি করার জন্য আদালতে হাজির হন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এম কে রহমান, কামরুল হক সিদ্দিকী, জেড আই খান পান্না, মোহসীন রশিদ, মোতাহার হোসেন সাজু, সৈয়দ মামুন মাহবুবসহ আওয়ামীপন্থি আইনজীবীরা। এজলাস কক্ষে আগে থেকে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।

শুনানি শুরু হলে রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রাসেল আহমেদ আদালতে বলেন, অ্যাটর্নি জেনারেল এক সপ্তাহ সময় নিতে বলেছেন। এক সপ্তাহ পর এটা শুনানির জন্য রাখেন। তখন খায়রুল হকের পক্ষে আইনজীবী মোহসিন রশিদ ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলকে বলেন, আপনি আদালতকে এভাবে নির্দেশনা দিতে পারেন না। এই কথা বলার সঙ্গে খায়রুল হকের আইনজীবী ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে হট্টগোল ও তুমুল হইচই শুরু হয়। ধাক্কাধাক্কির ঘটনাও ঘটে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা খায়রুল হকের আইনজীবীদের উদ্দেশে বলেন, সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহাকে যখন দেশছাড়া করা হলো তখন আপনারা কোথায় ছিলেন? আজ খায়রুল হকের মতো গণতন্ত্র ধব্বংসকারী কুলাঙ্গারের জামিন চাইতে এসেছেন।

এ সময় আদালত বার বার উভয়পক্ষের আইনজীবীদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে পরবর্তী শুনানির জন্য ১৭ আগস্ট দিন ধার্য করেন আদালত।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

২ মাস পেছালো খায়রুল হকের জামিন শুনানি।

আপডেট সময় : ০৮:৫৭:১৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫

স্টাফ রিপোর্টার:-
জুলাই আন্দোলনে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে যুবদলকর্মী আবদুল কাইয়ুম আহাদ হত্যা মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের জামিন ও মামলা বাতিল আবেদনের শুনানি দুই মাস পিছিয়েছে। এ বিষয়ে শুনানি হবে অক্টোবর মাসের শেষ সপ্তাহে।
রোববার খায়রুল হকের আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি জাকির হোসেন ও বিচারপতি কে এম রাশেদুজ্জামান রাজার হাইকোর্ট বেঞ্চে এ সময় দিন নির্ধারণ করেন।
আদালতে খায়রুল হকের পক্ষে একজন জুনিয়র আইনজীবী সময় নেন। তবে আওয়ামীপন্থি কোনো সিনিয়র আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না। আদালতে অ্যাটর্নি জেনারল মো. আসাদুজ্জামানসহ রাষ্ট্রপক্ষে অনেক আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে, গত ১১ আগস্ট জুলাই আন্দোলনে ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে যুবদলকর্মী আবদুল কাইয়ুম আহাদ হত্যা মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের জামিন ও মামলা বাতিল আবেদনের শুনানিতে আওয়ামীপন্থি ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে হট্টগোল ও ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে।
বিচারপতি জাকির হোসেন ও বিচারপতি কে এম রাশেদুজ্জামান রাজার হাইকোর্ট বেঞ্চের এজলাস কক্ষে হট্টগোলের ঘটনা ঘটে। হট্টগোল চলার মধ্যে আদালত এই আবেদনের পরবর্তী শুনানির জন্য আজকের দিন ধার্য করেন।
সেদিন বিকেল ৩টার দিকে খায়রুল হকের পক্ষে শুনানি করার জন্য আদালতে হাজির হন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এম কে রহমান, কামরুল হক সিদ্দিকী, জেড আই খান পান্না, মোহসীন রশিদ, মোতাহার হোসেন সাজু, সৈয়দ মামুন মাহবুবসহ আওয়ামীপন্থি আইনজীবীরা। এজলাস কক্ষে আগে থেকে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।

শুনানি শুরু হলে রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রাসেল আহমেদ আদালতে বলেন, অ্যাটর্নি জেনারেল এক সপ্তাহ সময় নিতে বলেছেন। এক সপ্তাহ পর এটা শুনানির জন্য রাখেন। তখন খায়রুল হকের পক্ষে আইনজীবী মোহসিন রশিদ ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলকে বলেন, আপনি আদালতকে এভাবে নির্দেশনা দিতে পারেন না। এই কথা বলার সঙ্গে খায়রুল হকের আইনজীবী ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে হট্টগোল ও তুমুল হইচই শুরু হয়। ধাক্কাধাক্কির ঘটনাও ঘটে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা খায়রুল হকের আইনজীবীদের উদ্দেশে বলেন, সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহাকে যখন দেশছাড়া করা হলো তখন আপনারা কোথায় ছিলেন? আজ খায়রুল হকের মতো গণতন্ত্র ধব্বংসকারী কুলাঙ্গারের জামিন চাইতে এসেছেন।

এ সময় আদালত বার বার উভয়পক্ষের আইনজীবীদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে পরবর্তী শুনানির জন্য ১৭ আগস্ট দিন ধার্য করেন আদালত।