দর্শনা ০৫:০০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৮ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সরকার বললে চলে যাব শিক্ষা উপদেষ্টা।

  • আপডেট সময় : ১২:১১:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫ ৩৪২ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার:-
রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাজে কোনো ব্যত্যয় হয়নি বলে দাবি করেছেন শিক্ষা উপদেষ্টা সিআর আবরার।

তিনি বলেন, নিজ থেকে পদত্যাগ করার কোনো ইচ্ছা নেই। তবে সরকার প্রধান উপদেষ্টা বললে চলে যাব।
বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
এক সাংবাদিক জানতে চান, মঙ্গলবার শিক্ষর্থীরা শিক্ষা উপদেষ্টা ও সচিবের পদত্যাগ দাবি করেছিলেন। এরপর শিক্ষা সচিবকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হলো। এখন শিক্ষা উপদেষ্টা কী করবেন?
জবাবে সিআর আবরার বলেন, সেটা সরকার বিবেচনা করবে। এখানে কোনো রকমের অব্যবস্থাপনা হয়নি। আমি সেটাই বোঝাতে চেষ্টা করেছি। ব্যবস্থায় নির্দিষ্ট যে নিয়ম-কানুন আছে সেটা। শিক্ষা সচিবকে পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। সেটা উচ্চতর একটা কমিটির সিদ্ধান্ত। সেই সিদ্ধান্তের সঙ্গে আমি যুক্ত ছিলাম না। তাকে কেন অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে সেটার উত্তর আমি দিতে পারব না।

আপনি কি পদত্যাগ করবেন? এক সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের উত্তরে উপদেষ্টা বলেন, আপনি আমাকে জেরা করতে পারেন না। আমার পদত্যাগ চাওয়া হয়েছে। সেখানে আমার নিজে থেকে এটি করার কোনো অভিপ্রায় নেই। কারণ আমার কাজে কোনো ব্যত্যয় হয়েছে বলে আমি মনে করি না। ঘটনার পরম্পরা আমি আপনাদের জানালাম। আপনারা সেটা বিবেচনা করবেন, সেটা ঠিক কি বেঠিক।
এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিতের সিদ্ধান্তে বিলম্ব হওয়ার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা। তিনি বলেন, আমরা মাইলস্টোন কলেজ পরিদর্শন শেষে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে সিএমএইচ যাই। সেখান থেকে আমরা বার্ন ইউনিটে যাই। সেখানে দেখলাম যতটুকু সম্ভব তারা সিঙ্গাপুরের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে যাচ্ছেন। রাত ১০টা পর্যন্ত সেখানেই ছিলাম।

সিআর আবরার বলেন, যখন ঘরে ফিরছি তখন এই পরীক্ষার বিষয়টি সামনে এলো। কেউ কেউ চাচ্ছিলেন পরীক্ষা হোক, আবার কেউ কেউ চাচ্ছিলেন পরীক্ষা পেছানো হোক। সেই প্রক্রিয়ায় প্রসেসের মাধ্যমে আমাদের কয়েকজন উপদেষ্টার সঙ্গেও কথা হয়। এটা একটা সিদ্ধান্ত যেটা হুট করে নেওয়া যায় না। হুট করে নেওয়ার এখতিয়ারও কারও নেই এককভাবে।
তিনি বলেন, যেটা করার জন্য একটা রোলডাউন করতে হয়, আবার পরীক্ষা না হলে রোলব্যাক করার একটা বিষয় রয়েছে। প্রশ্নপত্র চলে গিয়ে থাকলে এক বিষয় হবে। লোকাল প্রশাসনকে জানাতে হবে। এ বিষয়গুলো নিশ্চিত করেই নির্দিষ্ট সময়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। পরবর্তীতে এ বিষয় জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

শিক্ষা উপদেষ্টা আরও বলেন, অনেকের মধ্যেই হয়তো একটা ধারণা হয়েছে, অনেক আগেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারত। এ ধারণাটা একেবারেই সঠিক না। প্রসেস ফলো করেই পরীক্ষা পেছানো হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

সরকার বললে চলে যাব শিক্ষা উপদেষ্টা।

আপডেট সময় : ১২:১১:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫

স্টাফ রিপোর্টার:-
রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাজে কোনো ব্যত্যয় হয়নি বলে দাবি করেছেন শিক্ষা উপদেষ্টা সিআর আবরার।

তিনি বলেন, নিজ থেকে পদত্যাগ করার কোনো ইচ্ছা নেই। তবে সরকার প্রধান উপদেষ্টা বললে চলে যাব।
বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
এক সাংবাদিক জানতে চান, মঙ্গলবার শিক্ষর্থীরা শিক্ষা উপদেষ্টা ও সচিবের পদত্যাগ দাবি করেছিলেন। এরপর শিক্ষা সচিবকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হলো। এখন শিক্ষা উপদেষ্টা কী করবেন?
জবাবে সিআর আবরার বলেন, সেটা সরকার বিবেচনা করবে। এখানে কোনো রকমের অব্যবস্থাপনা হয়নি। আমি সেটাই বোঝাতে চেষ্টা করেছি। ব্যবস্থায় নির্দিষ্ট যে নিয়ম-কানুন আছে সেটা। শিক্ষা সচিবকে পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। সেটা উচ্চতর একটা কমিটির সিদ্ধান্ত। সেই সিদ্ধান্তের সঙ্গে আমি যুক্ত ছিলাম না। তাকে কেন অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে সেটার উত্তর আমি দিতে পারব না।

আপনি কি পদত্যাগ করবেন? এক সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের উত্তরে উপদেষ্টা বলেন, আপনি আমাকে জেরা করতে পারেন না। আমার পদত্যাগ চাওয়া হয়েছে। সেখানে আমার নিজে থেকে এটি করার কোনো অভিপ্রায় নেই। কারণ আমার কাজে কোনো ব্যত্যয় হয়েছে বলে আমি মনে করি না। ঘটনার পরম্পরা আমি আপনাদের জানালাম। আপনারা সেটা বিবেচনা করবেন, সেটা ঠিক কি বেঠিক।
এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিতের সিদ্ধান্তে বিলম্ব হওয়ার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা। তিনি বলেন, আমরা মাইলস্টোন কলেজ পরিদর্শন শেষে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে সিএমএইচ যাই। সেখান থেকে আমরা বার্ন ইউনিটে যাই। সেখানে দেখলাম যতটুকু সম্ভব তারা সিঙ্গাপুরের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে যাচ্ছেন। রাত ১০টা পর্যন্ত সেখানেই ছিলাম।

সিআর আবরার বলেন, যখন ঘরে ফিরছি তখন এই পরীক্ষার বিষয়টি সামনে এলো। কেউ কেউ চাচ্ছিলেন পরীক্ষা হোক, আবার কেউ কেউ চাচ্ছিলেন পরীক্ষা পেছানো হোক। সেই প্রক্রিয়ায় প্রসেসের মাধ্যমে আমাদের কয়েকজন উপদেষ্টার সঙ্গেও কথা হয়। এটা একটা সিদ্ধান্ত যেটা হুট করে নেওয়া যায় না। হুট করে নেওয়ার এখতিয়ারও কারও নেই এককভাবে।
তিনি বলেন, যেটা করার জন্য একটা রোলডাউন করতে হয়, আবার পরীক্ষা না হলে রোলব্যাক করার একটা বিষয় রয়েছে। প্রশ্নপত্র চলে গিয়ে থাকলে এক বিষয় হবে। লোকাল প্রশাসনকে জানাতে হবে। এ বিষয়গুলো নিশ্চিত করেই নির্দিষ্ট সময়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। পরবর্তীতে এ বিষয় জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

শিক্ষা উপদেষ্টা আরও বলেন, অনেকের মধ্যেই হয়তো একটা ধারণা হয়েছে, অনেক আগেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারত। এ ধারণাটা একেবারেই সঠিক না। প্রসেস ফলো করেই পরীক্ষা পেছানো হয়েছে।