সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে কাজ করতে চাই সভাপতি, রাইজিং ফ্যাসনস লিমিটেডের এমডি মাহমুদ হাসান খাঁন বাবু।
- আপডেট সময় : ০৬:০৯:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ জুন ২০২৫ ৪২৬ বার পড়া হয়েছে
শাপলা নিউজ ডেস্ক।
বিজিইএমএ”র ২০২৫-২৭ মেয়াদের নির্শাবাচনে সংখ্যাগরিষ্পঠতা পেয়েছেন “ফোরাম জোট”। জোটের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন চুয়াডাঙ্গার কৃর্তিসন্তান,জেলা বিএনপির সভাপতি, রাইজিং ফ্যাসনস লিমিটেডের এমডি মাহমুদ হাসান খাঁন বাবু।
বিজিইএমএ’র ২০২৫-২৭ মেয়াদের নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে জয়লাভ করেছে ‘ফোরাম’ জোট। ঢাকায় ২৬টি পরিচালক পদের মধ্যে ফোরাম জোট পেয়েছে ২৫টি এবং চট্টগ্রামে ৯টি পরিচালক পদের মধ্যে পাঁচটি পদে জয়লাভ করেছেন এই জোটের প্রার্থীরা। নির্বাচিত পরিচালকরা আগামী ২ জুন ভোট দিয়ে সভাপতি ও সহ-সভাপতি নির্বাচন করবেন।
৩১ মে ঢাকা ও চট্টগ্রামের হোটেল রেডিসন ব্লু–-তে সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া ভোট টানা বিকাল ৫টা পর্যন্ত চলে। নির্বাচনে ঢাকা ও চট্টগ্রামে মোট এক হাজার ৮৬৪ জন ভোটারের মধ্যে এক হাজার ৬৩১ ভোটার ভোট দেন। এর মধ্যে ঢাকায় এক হাজার ৩৭৭ ও চট্টগ্রামে ২৫৪টি ভোট কাস্ট হয়েছে, যা মোট ভোটারের প্রায় ৮৭ শতাংশ।
বিজিএমইএ’র এবারের নির্বাচনে ভোটযুদ্ধে অংশ নেন মোট ৭৬ জন প্রার্থী। ফোরাম জোট ও সম্মিলিত পরিষদ ৩৫টি পরিচালক পদের বিপরীতে প্রার্থী দেয়। বাকি ৬ জন ঐক্য পরিষদের ব্যানারে স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
প্রাপ্ত তথ্য মতে, চট্টগ্রাম অঞ্চলের ২৫৪টি ভোটের মধ্যে বাতিল হয় ৬টি। মোট ৯টি পরিচালক পদের বিপরীতে ফোরাম জোট ৫টি পদে জয়ী হয়।
নির্বাচনে প্যানেল লিডার হিসেবে ফোরাম জোটের নেতৃত্ব দিয়েছেন রাইজিং ফ্যাশনস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহমুদ হাসান খাঁন (বাবু)। পাশাপাশি সম্মিলিত পরিষদের নেতৃত্ব দিয়েছেন চৈতি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম।
ফোরামের ঢাকা অঞ্চলের বিজয়ী প্রার্থীরা হলেন- প্যানেল লিডার মাহমুদ হাসান খাঁন বাবু (১১৪৯), শাহ রাঈদ চৌধুরী (১১২৩), মিজানুর রহমান (১০৬৬), এম এ রহিম (১০১৪), ফয়সাল সামাদ (৯৯২), ইনামুল হক খান (৯৬৬), ভিদিয়া অমৃত খান (৯৫৭), মো. হাসিব উদ্দিন (৯৫১), রেজওয়ান সেলিম (৯৪১), মোহাম্মদ আবদুস সালাম (৯৪০), মো. শিহাব উদ্দোজা চৌধুরী (৯২৯), নাফিস-উদ-দৌলা (৯১৯), সুমাইয়া ইসলাম (৯০৯), ফাহিমা আক্তার (৮৫৩), মজুমদার আরিফুর রহমান (৮৫০), আনোয়ার হোসেন চৌধুরী (৮৪৯), শেখ এইচ এম মোস্তাফিজ (৮৪৭), কাজী মিজানুর রহমান (৮৪৫), জোয়াদ্দার মোহাম্মদ হোসনে কামার আলম (৮৪২), এ বি এম শামছুদ্দিন (৮৪০), আসেফ কামাল পাশা (৮৩৬), ড. রশীদ আহমেদ হোসাইনী (৮২৪), ফারুক হাসান (৮১৩ সম্মিলিত পরিষদের প্রার্থী), রুমানা রশীদ (৮১১), মোহাম্মদ সোহেল (৮০৭), সামিহা আজিম (৭৯৯) ।
এই জোটের চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিজয়ী প্রার্থীরা হলেন- সেলিম রহমান (১০৫৮), এম মহিউদ্দিন চৌধুরী (৯৭৯), সাকিফ আহমেদ সালাম (৯৪৪), মো. শরীফ উল্লাহ (৯২৭), মোহাম্মদ রফিক চৌধুরী (৯১৯), এনামুল আজিজ চৌধুরী (৮৯০)। বাকি তিনটি পদে জয়ী হয়েছেন সম্মিলিত পরিষদের সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর (৯৫০), এস এম আবু তৈয়ব (৮৩৫) ও রাকিবুল আলম চৌধুরী (৮৩১)।
তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ফোরামের প্যানেল লিডার মাহমুদ হাসান খাঁন বাবু বলেছেন, ফোরাম ঘোষিত ইশতেহারে অগ্রাধিকারগুলো বলা আছে। সে মোতাবেক আমরা কাজ করবো। এই মুহূর্তে শিল্পে অগ্রাধিকার হচ্ছে, গ্যাস-বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান করা। এছাড়া আমাদের সামনে যখন যে চ্যালেঞ্জ আসবে আমরা সেটি নিয়ে কাজ করবো। আমরা মালিকের কল্যাণ নিয়ে কাজ করবো, শ্রমিকের কল্যাণ নিয়েও কাজ করবো। সামনে এলডিসি গ্রাজুয়েশন আছে, মার্কিন ট্যারিফ ইস্যু আছে- এগুলোর পাশাপাশি শ্রমিক কল্যাণ তহবিল এবং এক্সিট প্ল্যান নিয়ে কাজ করবো।
তিনি আরও বলেন, বিজিএমইএ’র বড় সৌন্দর্য হচ্ছে নির্বাচনের আগে এক-দুই মাস আমাদের মধ্যে পারস্পরিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকে। নির্বাচনের পরে সবাই একসঙ্গে কাজ করি। আমি মনে করি যেই ৭৬ জন নির্বাচনে অংশ নিয়েছে, তারা সবাই বিজয়ী হয়েছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মাহমুদ হাসান খাঁন বাবু বলেন, সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে কাজ করতে চাই। কারণ দিনশেষে বিজিএমইএ সদস্যদের সংগঠন। এটার সঙ্গে দেশের অর্থনীতি জড়িত। পোশাক শিল্প হচ্ছে লাইফলাইন অব দ্য ইকোনমি। সুতরাং একসঙ্গে কাজ করতে পারলে দেশের ইকোনমি ভালো হবে এবং দেশ এগিয়ে যাবে।