করপোরেশনের চেয়ারম্যান ও কেরুজ এমডি সহ ৬ জনের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে রিট ৪ সপ্তাহের মধ্যে কৌফিয়ত তলব।
- আপডেট সময় : ০৫:৫৬:৪০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫ ৬৬৬ বার পড়া হয়েছে
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি।
দর্শনা কেরুজ চিনিকল থেকে গত ৪ মাসের ব্যবধানে ৭ জন শ্রমিক-কর্মচারিকে দেশের বিভিন্ন চিনিকলে বদলি করা হয়েছে। এ বদলিতে যেমন কারো কারো মধ্যে সৃস্টি হয়েছে ক্ষোভের, তেমনি কেউ কেউ আনন্দিতও। একের পর এক বিভিন্ন মিলের বদলি ঘটনায় এবার উচ্চ আদালতে রিট করলেন একজন শ্রমিক। তাকে পদবনতি করায় বাংলাদেশ সরকারের শিল্প মন্ত্রনালয়ের সচিব, বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের চেয়ারম্যান, কেরুজ চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন), সদর দপ্তরের মানব সম্পদ বিভাগের প্রধান ও ঠাকুরগাও চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে রিট আবেদন করেছেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে কৌফিয়ত তলব করেছেন উচ্চ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের ছোট শলুয়া গ্রামের জামাল উদ্দিনের ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুনের পক্ষে এ্যাড এবি শওকত আলী গত ১৯ এপ্রিল হাই কোর্টে এ রিট আবেদন দাখিল করেন। আবেদনে উল্লেখ করা হয়, আব্দুল্লাহ আল মামুন কেরুজ চিনিকলে অফিস সহকারি ফরেণ লিকার পদে ছিলেন। গত ১৬ এপ্রিল মামুনকে ঠাকুরগাও চিনিকলে উৎপাদন সহকারি পদে বদলি করা হয়েছে। যা প্রকৃত পদের ৩ ধাপ নিচে। গ্রেডের তুলনায় ১১ থেকে ১৪ তে নেয়া হয়। গত ৪ মে উচ্চ আদালতের মাননীয় বিচারপতি মোঃ হাবিবুল গণি ও সৈয়দ মোহাম্মদ তাজরুল হোসেনের বেঞ্চ আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে তা কেন অবৈধ ও আইন বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না এ মর্মে ব্যাখ্যা চেয়েছেন। এ বিষয়ে জানতে চাওয়ার জন্য কেরুজ চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের ব্যাক্তিগত মোবাইল ফোনে একাধীকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। এ ছাড়া আব্দুল্লাহ আল মামুন ১৯ এপ্রিল বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত আবেদনে বলেছেন, তিনি ২০০৮ সালের ১৪ মে কেরুজ চিনিকলে সিডিএ যোগদান করেন। ২০১৩ সালের ৭ অক্টোবর ভারপ্রাপ্ত অফিস সহকারী পদে ডিষ্টিদারী বিভাগে যোগদান করেছিলেন। যোগ্যতা ও কর্ম দক্ষতা বিবেচনা করে, মূল্যায়ন কমিটির মাধ্যমে যোগ্যতা যাচাই করে ২০১৪ সালের ১৮ ডিসেম্বর অফিস ভারপ্রাপ্ত অফিস সহকারী থেকে অফিস সহকারী পদে পদন্নোতি পান। একই পদে ১০ বছর অতি সুনাম ও দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করায় ২০২৪ সালের ১৮ ডিসেম্বর উচ্চতর গ্রেড/স্কেল প্রদান করে ১১ তম গ্রেডে বেতন নির্ধারণ করা হয়। অফিস সহকারী পদে ডিষ্টিলারী (এফএল) বিভাগে ১১ তম গ্রেডের কর্মচারী হিসাবে অতি সুনামের সাথে কর্মরত ছিলেন। গত ১৬ এপ্রিল বিএসএফ আই-সি ৩৬.০৪.০০০০.০১২-১৯.০০৩.১৮-১৯০ নং পত্রে বদলি আদেশ হলেও তিনি আদেশপত্র হাতে পান ১৯ এপ্রিলে। ওই পত্রে মামুনকে সিডিএ পদবি উল্লেখ করা হয়েছে। প্রকৃত পক্ষে তিনি অফিস সাহকারী পদে ডিষ্টিপারী বিভাগে ১২ বছর কর্মরত ছিলেন। এ ব্যাপারে জানতে চাওয়ার জন্য কেরুজ চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাব্বিক হাসানকে মোবাইল ফোনে একাধীকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।