হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা সাংবাদিক হাশেম রেজা কারাগারে
- আপডেট সময় : ১১:০৩:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ৫৮ বার পড়া হয়েছে
তহিরুল ইসলামঃ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক উপকমিটির সদস্য এবং দৈনিক আমার সংবাদ পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক আবু হাশেম রেজাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় গুলিতে রফিকুল ইসলাম নিহতের ঘটনায় করা মামলায় তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। সাংবাদিক হাশেম রেজা চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনার কুড়ুলগাছীর ছাব্দার মোল্লার ছেলে। রবিবার (২৪ নভেম্বর) মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা যাত্রাবাড়ী থানার সাব ইন্সপেক্টর মো মাহাবুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (২২ নভেম্বর) হাশেম রেজাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠুতদন্তের জন্য তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা যাত্রাবাড়ী থানার সাব ইন্সপেক্টর মো. মাহাবুল ইসলাম। আসামি পক্ষের আইনজীবী শুনানিতে বলেন, হাশেম রেজা ঘটনার সাথে জড়িত না। এজহারে হাশেম রেজার নামের মিল নেই। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম আফনান সুমি তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। একই সঙ্গে আসামির মোবাইলের কললিস্ট যাচাই করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। কললিস্ট প্রাপ্তি সাপেক্ষে রিমান্ড শুনানি অনুষ্ঠিত হবে বলে আদালত জানান। মো. মাহাবুল ইসলাম বলেন, হাশেম রেজার নাম সার্চ দিলে যে ছবি পাওয়া যায় তার সাথে মিল রয়েছে। তিনি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের নির্বাচন করে পরাজিত হয়েছেন। এজহারনামীয় ১১৮ নাম্বার আসামি হাশেম রেজা। এর আগে শুক্রবার (২২ নভেম্বর) মিরপুরের বাসা থেকে হাশেম রেজাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গত ১৮ জুলাই অংশগ্রহণ করে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকার মনোয়ারা হাসপাতালের সামনে গুলিতে নিহত হন রফিকুল ইসলাম। পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল থেকে ১৯ জুলাই আঞ্জুমান মুফিদুলের মাধ্যমে লাশ দাফন করা হয়। নিহতের স্ত্রী অনেক খোঁজাখুজির পর ছবি দেখে স্বামীর কবরস্থানের সন্ধান পান। এ ঘটনায় গত ১ সেপ্টেম্বর নিহতের স্ত্রী নার্জিয়া আক্তার যাত্রাবাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মালায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৯৫ জনকে আসামি করা হয়।