দর্শনা ১২:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
আইএফআইসি ব্যাংকের ৬ কর্মচারি অজ্ঞান । সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে কাজ করতে চাই সভাপতি, রাইজিং ফ্যাসনস লিমিটেডের এমডি মাহমুদ হাসান খাঁন বাবু। যশোরে পতিত স্বৈরাচারের অনুগত আ’লীগের চেয়ারম্যানরা পালিয়ে থাকার পর এবার বিএনপি নেতাদের সহযোগিতায় ফিরতে শুরু করেছে। পতিত স্বৈরাচারের লেসপেন্সাররা এবার জমা জমি বিক্রি করে দেশের বাইরে পালাচ্ছে। ফেরিতে জুয়ার ফাঁদে ছিনতাই। জীবননগরে যৌথবাহিনীর অভিযানে ইউপি সদস্যসহ আটক ৩। এক নারীর এক্সিলা রিজিয়নের গুরুতর অপারেশন নিয়ে ধোঁয়াশা অপারেশন নোট নেই, সমালোচনা। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এঁর ১২৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কবির প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও বর্ণাঢ্য র‌্যালি অনুষ্ঠিত। দেশের স্বার্থে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে, মেমনগর বিডি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এর সভাপতি মশিউর রহমান। টঙ্গী রেল স্টেশন থেকে ৭ হাজার পিচ ইয়াবা সহ ১ নারীকে গ্রেফতার করেছে রেলওয়ে পুলিশ।

ময়মনসিংহে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলায় সাংবাদিক কারাগারে ।

  • আপডেট সময় : ০৮:৫৩:৪২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৭ মে ২০২৫ ২০৭ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার ঃ
ময়মনসিংহে দৈনিক প্রলয় পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মির্জা সোবেদ আলী ওরফে রাজা (৪০) কে ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসের মাধ্যমে অশ্লীল ভিডিও ও ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ানো মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে দায়েরকৃত মামলায় গত ২১শে এপ্রিল গ্রেফতার করেছে কোতোয়ালী থানা পুলিশ। সেই হতে বিনা বিচারে কারাগারে রয়েছে এই সাংবাদিক।
মামলাটি দায়ের করেছেন -ময়মনসিংহ জেলার কোতোয়ালী থানার গোহাইলকান্দি মৃত কাউছার হোসেনের ছেলে রেজাউল করিম। অপরদিকে গ্রেফতারকৃত রাজা হলেন-কুড়িগ্রাম জেলার ভুরুঙ্গামারী থানার ইসলামপুর এলাকার আঃ হাই এর ছেলে। উনি কোতোয়ালী থানার আরকে মিশন রোডে ভাড়া বাসায় বসবাস করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, এজাহারকারী বাদী দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ পত্রিকায় ময়মনসিংহ বিভাগের প্রধান হিসেবে কর্মরত। গত ১২ ই মার্চ ২০২৫ইং গ্রেফতারকৃত আসামী রাজাসহ পলাতক আসামীরা পরস্পর যোগসাজসে হোয়াটস এ্যাপ নং-৪৪৭৪১১৫৭৩৫১৪ হতে বাদীর ব্যক্তিগত হোয়াটসঅ্যাপে ফোন করে ১টি অশ্লীল ভিডিও (পর্ণ) তৈরী করে বাদীর মোবাইল ফোনে প্রেরন করে রাতের মধ্যেই ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে। তাদের দাবীকৃত চাঁদার টাকা না দিলে অশ্লীল ভিডিও (পর্ণ) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দিয়ে ভাইরাল করার হুমকি দেয়। পরবর্তীতে ১৩ মার্চ রাতে সাংবাদিক ইবনে ইউনুস নামীয় ফেইসবুক আইডিতে দেখতে পাই যে, উক্ত আইডিতে বাদীর সাথে এক নারীর ছবি সংযুক্ত করে অশালীন ও কু-রুচিপূর্ণ, অশ্লীল (পর্ণ) তৈরী করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে প্রচার করেছে। গোপনে মোবাইলে ধারনকৃত অম্লীল ভিডিও এবং ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দিয়ে সমাজের চোখে বাদীকে হেয়প্রতিপন্ন করার অভিযোগ আনয়ন করে গ্রেফতারকৃত আসামীসহ আরো কয়েকজনের বিরুদ্ধে
গত ৮ই এপ্রিল কোতোয়ালী থানায় বাদী এজাহার দায়েরের প্রেক্ষিতে ২০১২ সনের পর্নোগ্রাফী নিয়ন্ত্রন আইনের ৮(১)/৮(২)/৮(৩) ধারায় ২৩ নং মামলাটি রুজু হয়। এই মামলায় পুলিশ এই সাংবাদিককে গ্রেফতার করে রিমান্ডের আবেদন করে আদালতে প্রেরণ করে। আদালত পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের আদেশ প্রদান করেন।
অনুসন্ধান ও আদালত সূত্রে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত আসামী বাদীর ব্যক্তিগত ফেসবুক লিংক থেকে অশালীন ও কু-রুচিপূর্ণ, অশ্লীল কোনো ধরণের ছবি বা ভিডিও প্রকাশ করার কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণ এজাহারে উল্লেখ নাই। বাদীর সাথে এই আসামীর মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পূর্ব কথোপকথনসহ কত তারিখ কোন সময় আসামী বাদীকে ফোন করে কথিত চাঁদা দাবি করেছে, এর কোনো সুনির্দিষ্ট সময় বা তারিখ মামলার এজাহারের কোনো অংশে উল্লেখ নাই। যার প্রেক্ষিতে এই এজাহারটি আইনী ভাবে ত্রুটিপূর্ণ।
এমনকি মামলার এজাহারে উল্লেখিত মোবাইল নাম্বার-৪৪৭৪১১৫৭৩৫১৪ টি বাংলাদেশী কোনো নাম্বার না হওয়ার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশে এই নাম্বার ব্যবহার করাও সম্ভব নয় এবং আসামীর ব্যবহৃত কোনো মোবাইলে এই নাম্বারের কোনো সীম ব্যবহার করা হয়েছে এই মর্মে কোন তথ্য প্রমাণাদির বিষয়ে পুলিশ ফরওয়ার্ডিংএ উল্লেখ করা হয় নাই। এমনকি গ্রেফতারকৃত এই আসামীর নিকট থেকে রিমান্ডে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করে বা আসামীর ব্যবহৃত মোবাইলসহ বিভিন্ন ডিভাইস যাচাই বাছাই করেও অপরাধের সাথে জড়িত কোনো অবৈধ আলামত (যেমন: মোবাইল বা অন্য কোনো ইলেট্রনিক্স ডিভাইস) জব্দ তালিকা মূলে উদ্ধার হয় নাই।
এবিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতোয়ালী থানার এসআই মতিউর রহমানের সাথে যোগাযোগ করলে উনি জানান, এজাহারে উল্লেখ আছে সাংবাদিক ইবনে ইউনুসের ফেসবুক আইডি থেকে অপপ্রচার করা হয়েছে। এই আসামীর কাছ থেকে কোন আলামত উদ্ধার হয় নি। যে নম্বর থেকো চাঁদা দাবি করা হয়েছে এসংক্রান্তে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহের চেষ্টা চলছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

ময়মনসিংহে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলায় সাংবাদিক কারাগারে ।

আপডেট সময় : ০৮:৫৩:৪২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৭ মে ২০২৫

স্টাফ রিপোর্টার ঃ
ময়মনসিংহে দৈনিক প্রলয় পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মির্জা সোবেদ আলী ওরফে রাজা (৪০) কে ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসের মাধ্যমে অশ্লীল ভিডিও ও ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ানো মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে দায়েরকৃত মামলায় গত ২১শে এপ্রিল গ্রেফতার করেছে কোতোয়ালী থানা পুলিশ। সেই হতে বিনা বিচারে কারাগারে রয়েছে এই সাংবাদিক।
মামলাটি দায়ের করেছেন -ময়মনসিংহ জেলার কোতোয়ালী থানার গোহাইলকান্দি মৃত কাউছার হোসেনের ছেলে রেজাউল করিম। অপরদিকে গ্রেফতারকৃত রাজা হলেন-কুড়িগ্রাম জেলার ভুরুঙ্গামারী থানার ইসলামপুর এলাকার আঃ হাই এর ছেলে। উনি কোতোয়ালী থানার আরকে মিশন রোডে ভাড়া বাসায় বসবাস করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, এজাহারকারী বাদী দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ পত্রিকায় ময়মনসিংহ বিভাগের প্রধান হিসেবে কর্মরত। গত ১২ ই মার্চ ২০২৫ইং গ্রেফতারকৃত আসামী রাজাসহ পলাতক আসামীরা পরস্পর যোগসাজসে হোয়াটস এ্যাপ নং-৪৪৭৪১১৫৭৩৫১৪ হতে বাদীর ব্যক্তিগত হোয়াটসঅ্যাপে ফোন করে ১টি অশ্লীল ভিডিও (পর্ণ) তৈরী করে বাদীর মোবাইল ফোনে প্রেরন করে রাতের মধ্যেই ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে। তাদের দাবীকৃত চাঁদার টাকা না দিলে অশ্লীল ভিডিও (পর্ণ) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দিয়ে ভাইরাল করার হুমকি দেয়। পরবর্তীতে ১৩ মার্চ রাতে সাংবাদিক ইবনে ইউনুস নামীয় ফেইসবুক আইডিতে দেখতে পাই যে, উক্ত আইডিতে বাদীর সাথে এক নারীর ছবি সংযুক্ত করে অশালীন ও কু-রুচিপূর্ণ, অশ্লীল (পর্ণ) তৈরী করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে প্রচার করেছে। গোপনে মোবাইলে ধারনকৃত অম্লীল ভিডিও এবং ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দিয়ে সমাজের চোখে বাদীকে হেয়প্রতিপন্ন করার অভিযোগ আনয়ন করে গ্রেফতারকৃত আসামীসহ আরো কয়েকজনের বিরুদ্ধে
গত ৮ই এপ্রিল কোতোয়ালী থানায় বাদী এজাহার দায়েরের প্রেক্ষিতে ২০১২ সনের পর্নোগ্রাফী নিয়ন্ত্রন আইনের ৮(১)/৮(২)/৮(৩) ধারায় ২৩ নং মামলাটি রুজু হয়। এই মামলায় পুলিশ এই সাংবাদিককে গ্রেফতার করে রিমান্ডের আবেদন করে আদালতে প্রেরণ করে। আদালত পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের আদেশ প্রদান করেন।
অনুসন্ধান ও আদালত সূত্রে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত আসামী বাদীর ব্যক্তিগত ফেসবুক লিংক থেকে অশালীন ও কু-রুচিপূর্ণ, অশ্লীল কোনো ধরণের ছবি বা ভিডিও প্রকাশ করার কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণ এজাহারে উল্লেখ নাই। বাদীর সাথে এই আসামীর মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পূর্ব কথোপকথনসহ কত তারিখ কোন সময় আসামী বাদীকে ফোন করে কথিত চাঁদা দাবি করেছে, এর কোনো সুনির্দিষ্ট সময় বা তারিখ মামলার এজাহারের কোনো অংশে উল্লেখ নাই। যার প্রেক্ষিতে এই এজাহারটি আইনী ভাবে ত্রুটিপূর্ণ।
এমনকি মামলার এজাহারে উল্লেখিত মোবাইল নাম্বার-৪৪৭৪১১৫৭৩৫১৪ টি বাংলাদেশী কোনো নাম্বার না হওয়ার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশে এই নাম্বার ব্যবহার করাও সম্ভব নয় এবং আসামীর ব্যবহৃত কোনো মোবাইলে এই নাম্বারের কোনো সীম ব্যবহার করা হয়েছে এই মর্মে কোন তথ্য প্রমাণাদির বিষয়ে পুলিশ ফরওয়ার্ডিংএ উল্লেখ করা হয় নাই। এমনকি গ্রেফতারকৃত এই আসামীর নিকট থেকে রিমান্ডে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করে বা আসামীর ব্যবহৃত মোবাইলসহ বিভিন্ন ডিভাইস যাচাই বাছাই করেও অপরাধের সাথে জড়িত কোনো অবৈধ আলামত (যেমন: মোবাইল বা অন্য কোনো ইলেট্রনিক্স ডিভাইস) জব্দ তালিকা মূলে উদ্ধার হয় নাই।
এবিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতোয়ালী থানার এসআই মতিউর রহমানের সাথে যোগাযোগ করলে উনি জানান, এজাহারে উল্লেখ আছে সাংবাদিক ইবনে ইউনুসের ফেসবুক আইডি থেকে অপপ্রচার করা হয়েছে। এই আসামীর কাছ থেকে কোন আলামত উদ্ধার হয় নি। যে নম্বর থেকো চাঁদা দাবি করা হয়েছে এসংক্রান্তে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহের চেষ্টা চলছে।