দর্শনা ০৯:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৪ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আইন আছে,প্রয়োগ নেই-দেখার কি কেউ নেই? চুয়াডাঙ্গার বড়শলুয়ায় কাশেমের ইট ভাটায় দেদারসে ইট তৈরির কাজ চলছে।

  • আপডেট সময় : ০২:৫২:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ ৫২২ বার পড়া হয়েছে

ভ্রাম্যমান প্রতিনিধিঃ
চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের দর্শনা থানাধীন বড়শলুয়া গ্রামের বেনাগাড়ি পাড়ায় কাশেম মাষ্টারের ইট ভাটায় সরকারি নিয়মনীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে দেদারসে ইট তৈরির কাজ চলছে। পরিবেশ অফিসের কোন ছাড়পত্র না নিয়ে গ্রাম সংলগ্ন প্রধান রাস্তার ধারে দীর্ঘ্যদিন ধরে ইটের ভাটা পরিচালিত হয়ে আসছে।নষ্ট হচ্ছে গ্রামের গাছপালা এবং ফসলি জমি। আরো নষ্ট হচ্ছে চাষকৃত উর্বর ভুমি। দেখার যেনো কেউ নেই!
এলাকাবাসীর অভিযোগ ও প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, জেলার তিতুদহ ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বড়শলুয়া গ্রামের বেনাগাড়ি পাড়ার প্রতাপশালী, স্বৈরাচার সরকারের দোসর কাশেম আলী মাষ্টার বিগত ৩০ বছর ধরে সরকারি নিয়ম নীতিকে উপেক্ষা করে ইট প্রস্তুতের কাজ চালিয়ে আসছে।বিগত দিনে অনেক বার জেলা প্রশানের কাছে জরিমানা গুনতে হয়েছে ওই ভাটা মালিক কাশেমকে।এরপরও জনবসুতি থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে ভাটা তৈরির সরকারি নির্দেশনা থাকলেও আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে একই স্হানে ইট তৈরির কাজ অব্যাহত রেখেছে।এতে, ক্ষতি হচ্ছে জীব- বৈচিত্র ও সবুজ শ্যামল গাছপালা এবং ফসলি জমি।এছাড়া, আশেপাশের জমি থেকে ইটের মাটি সংগ্রহ করায় কমতে শুরু হয়েছে উৎকৃষ্ট উর্বর ফসলি জমি।আরো সমস্যায় নাকাল আশেপাশের বসত ভিটায় বসবাসকারীরা।
এদিকে, বর্তমান ইন্টেরিম গর্ভঃ ক্ষমতায় আসার পর থেকে সকল প্রকার মাটি কাটার কাজ বন্ধ ঘোষণা করা হলেও ওই ভাটা মালিক সরকারি কোন আইন এ বিধি নিষেধকে তোয়াক্কা করছে না।দিনে প্রশাসনকে ধূলো দিয়ে, রাতে ইট ভাটায় ইট তৈরির কাজ,শুকনো ইট পোড়ানো, মাটি টানা ও ইট বিক্রির কাজ দেদারসে করা হচ্ছে।
জেলা ইট ভাটা মালিক সমিতিও প্রশাসনিক একটি শান্তিপূর্ণ সমাধান না হওয়া পর্যন্ত ইট ভাটার সকল কর্মকান্ড বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়।যদি কোন ইট ভাটা মালিক সিদ্ধান্তকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ইট তৈরির কাজ গোপনে করে।তাহলে সমিতি ও প্রশাসন ওই ভাটা মালিককে মোটা অঙ্কের জরিমানা করতে পারবে।
এ ব্যাপারে ভাটা মালিক কাশেম মাষ্টারের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের বারবার চেষ্টা করলে তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি।
বিষয়টির প্রতি জেলা প্রশাসনের হস্তোক্ষেপ কামনা করেছে ভূক্তভোগী এলাকাবাসী।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

আইন আছে,প্রয়োগ নেই-দেখার কি কেউ নেই? চুয়াডাঙ্গার বড়শলুয়ায় কাশেমের ইট ভাটায় দেদারসে ইট তৈরির কাজ চলছে।

আপডেট সময় : ০২:৫২:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫

ভ্রাম্যমান প্রতিনিধিঃ
চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের দর্শনা থানাধীন বড়শলুয়া গ্রামের বেনাগাড়ি পাড়ায় কাশেম মাষ্টারের ইট ভাটায় সরকারি নিয়মনীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে দেদারসে ইট তৈরির কাজ চলছে। পরিবেশ অফিসের কোন ছাড়পত্র না নিয়ে গ্রাম সংলগ্ন প্রধান রাস্তার ধারে দীর্ঘ্যদিন ধরে ইটের ভাটা পরিচালিত হয়ে আসছে।নষ্ট হচ্ছে গ্রামের গাছপালা এবং ফসলি জমি। আরো নষ্ট হচ্ছে চাষকৃত উর্বর ভুমি। দেখার যেনো কেউ নেই!
এলাকাবাসীর অভিযোগ ও প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, জেলার তিতুদহ ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বড়শলুয়া গ্রামের বেনাগাড়ি পাড়ার প্রতাপশালী, স্বৈরাচার সরকারের দোসর কাশেম আলী মাষ্টার বিগত ৩০ বছর ধরে সরকারি নিয়ম নীতিকে উপেক্ষা করে ইট প্রস্তুতের কাজ চালিয়ে আসছে।বিগত দিনে অনেক বার জেলা প্রশানের কাছে জরিমানা গুনতে হয়েছে ওই ভাটা মালিক কাশেমকে।এরপরও জনবসুতি থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে ভাটা তৈরির সরকারি নির্দেশনা থাকলেও আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে একই স্হানে ইট তৈরির কাজ অব্যাহত রেখেছে।এতে, ক্ষতি হচ্ছে জীব- বৈচিত্র ও সবুজ শ্যামল গাছপালা এবং ফসলি জমি।এছাড়া, আশেপাশের জমি থেকে ইটের মাটি সংগ্রহ করায় কমতে শুরু হয়েছে উৎকৃষ্ট উর্বর ফসলি জমি।আরো সমস্যায় নাকাল আশেপাশের বসত ভিটায় বসবাসকারীরা।
এদিকে, বর্তমান ইন্টেরিম গর্ভঃ ক্ষমতায় আসার পর থেকে সকল প্রকার মাটি কাটার কাজ বন্ধ ঘোষণা করা হলেও ওই ভাটা মালিক সরকারি কোন আইন এ বিধি নিষেধকে তোয়াক্কা করছে না।দিনে প্রশাসনকে ধূলো দিয়ে, রাতে ইট ভাটায় ইট তৈরির কাজ,শুকনো ইট পোড়ানো, মাটি টানা ও ইট বিক্রির কাজ দেদারসে করা হচ্ছে।
জেলা ইট ভাটা মালিক সমিতিও প্রশাসনিক একটি শান্তিপূর্ণ সমাধান না হওয়া পর্যন্ত ইট ভাটার সকল কর্মকান্ড বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়।যদি কোন ইট ভাটা মালিক সিদ্ধান্তকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ইট তৈরির কাজ গোপনে করে।তাহলে সমিতি ও প্রশাসন ওই ভাটা মালিককে মোটা অঙ্কের জরিমানা করতে পারবে।
এ ব্যাপারে ভাটা মালিক কাশেম মাষ্টারের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের বারবার চেষ্টা করলে তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি।
বিষয়টির প্রতি জেলা প্রশাসনের হস্তোক্ষেপ কামনা করেছে ভূক্তভোগী এলাকাবাসী।