মিথ্যা ধারা সংযোজন করায় কুলিয়ারচরে এলাকাবাসীর মানববন্ধণ।
- আপডেট সময় : ০১:১৩:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ২৮৩ বার পড়া হয়েছে
ফারজানা আক্তার, কুলিয়ারচর, কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি:
একটি ঝগড়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক গৃহবধূর তিন ছেলেকে হত্যা মামলায় জড়ানোর অভিযোগে ২৬ সেপ্টেম্বর উপজেলার ছয়সুতী ইউনিয়নের মাধবদী বাজারে মানববন্ধণ কর্মসূচীর আয়োজন করে এলাকাবাসী। ওই কর্মসূচীতে স্থানীয় শত শত গ্রামবাসী অংশগ্রহণ করে।
জানা যায়, জমি সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধের জের ধরে গত বছরের ২৫ এপ্রিল উপজেলার মাধবদী গ্রামের জুতা ব্যবসায়ী মান্নান মিয়া ও মৃত বাচ্চু মিয়ার পরিবারের মাঝে ঝগড়া হয়। এ ঘটনায় মান্নান মিয়ার স্ত্রী তাকমিনা আক্তার (২৩) বাদী হয়ে ওই বছরের ১৫ মে কুলিয়ারচর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় মান্নান মিয়াকে বিবাদীরা মাথায় আঘাত করেছে বলে উল্লেখ করা হয়। এ মামলায় মৃত বাচ্চু মিয়ার ছেলে শরীফ (২৮) রাজীব (২৫) ও সজীব মিয়াকে (২৩) আসামী করা হয়।
গত বছরের ৩১ জুলাই ওই মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এরপর ২ ডিসেম্বর মান্নান মিয়া (৩৫) নিজ বাড়ীতে মৃত্যুবরণ করে। পরে তদন্তকারী কর্মকর্তা ৩০২ ধারা সংযোজন করে আদালতে একটি সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করে।
সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিলের পর হাজিরা দিতে গেলে আদালত তিন ভাইকে জেল হাজতে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় তিন ভাইকে নিরপরাধ দাবী করে গতকাল মানববন্ধণ কর্মসূচীর আয়োজন করে মাধবদী গ্রামবাসী।
মান্নান মিয়ার মৃত্যুর ঘটনায় এলাকাবাসী বিরূপ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, মৃত মান্নানে দুই ভাই হান্নান ও আরমান সিঙ্গাপুর প্রবাসী। অপরদিকে অভিযুক্তরা কেটে খাওয়া মানুষ। স্থানীয়দের অভিযোগ, তিন ভাই মিথ্যা মামলার শিকার হয়েছে।
জুতা কারখানার শ্রমিক মাধবদী গ্রামের আঃ আওয়াল বলেন, মান্নান মিয়ার বাড়ীতে একটি জুতার কারখানা রয়েছে তিনি এ কারখানার একজন শ্রমিক। ঝগড়ার ঘটনার তিনি একজন প্রত্যক্ষদর্শী দাবি করে বলেন, ঝগড়ার সময় মান্নান কোন আঘাত প্রাপ্ত হয় নাই। মান্নান মিয়া পূর্বেই একবার স্ট্রোক করেছিলেন। ঘটনার সময়ও তিনি স্ট্রোক করলে তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়।
মাধবদী গ্রামের ব্যবসায়ী উছমান মিয়া (৭৫), দায়ের দোকানদার ইলিয়াছ মিয়া (৭৩) বলেন, মান্নান মিয়া স্ট্রোকের রোগী, তাকে কেউ মারধর করেনি। মান্নান মিয়ার প্রতিবেশি মাহমুদা খাতুন (২৫) ও সেলিনা খাতুন (৪০) বলেন, মান্নান মিয়া হৃদরোগ ও ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত ছিলেন। ঝগড়ার সময় তিনি হঠাৎ মাটিতে পড়ে গিয়েছিলেন।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে কুলিয়ারচর থানার পরিদর্শক খোকন চন্দ্র সরকার বলেন, মেডিকেল সার্টিফিকেটের ভিত্তিতেই ৩০২ ধারা সংযোজন করে আদালতে সম্পূরক চার্জশীট দেয়া হয়েছে।