মেহেরপুরের বিএডিসির বীজ পরিবহন টেন্ডার নিয়ে নতুন করে অনিয়মের অভিযোগ।
- আপডেট সময় : ০৬:৪৮:৫৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১২৯ বার পড়া হয়েছে
মেহেরপুরের বিএডিসির বীজ পরিবহন টেন্ডার নিয়ে নতুন করে অনিয়মের অভিযোগ
বিপ্র’র উপপরিচালক মো. হাফিজুল ও সহকারী পরিচালক আরিফুরের দৌড়ঝাপ
নিজস্ব প্রতিবেদক:
মেহেরপুরের বীজ প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্রে (বিপ্র) ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বীজ পরিবহন টেন্ডার নিয়ে নতুন করে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে, বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট রুলস (পিপিআর) ২০০৮-এর সুস্পষ্ট বিধান অমান্য করে প্রাক্কলিত ব্যয়ের তুলনায় প্রায় ১৫ থেকে ১৭ শতাংশ কম দর দেখানো প্রতিষ্ঠানকেই কাজ দেয়ার চেষ্টা চলছে। অথচ পিপিআর ২০০৮-এর ৩১ ধারার ৩ উপধারা অনুযায়ী, দাপ্তরিক প্রাক্কলিত ব্যয় থেকে ১০ শতাংশের বেশি কম বা বেশি দর উদ্ধৃত হলে সেটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হওয়ার কথা।
শুধু তাই নয়, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগ দিতে গিয়ে পিপিআর ৯৮ ধারার ২৩, ২৪ ও ৩১ উপধারাও উপেক্ষা করা হচ্ছে। এসব ধারায় দরদাতার আর্থিক সামর্থ্য, পূর্বের অভিজ্ঞতা, পরিবহন সক্ষমতা ও সম্পদ যাচাই বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, নির্বাচিত প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব পরিবহন নেই, আর্থিক অবস্থাও দুর্বল এবং পূর্বের কাজের রেকর্ড সন্তোষজনক নয়। ফলে আইনের চোখে এ প্রতিষ্ঠানটির যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
মেহেরপুর বিপ্র’র উপপরিচালক মো. হাফিজুল ইসলাম ও সহকারী পরিচালক এটিএম আরিফুর রহমানের বিরুদ্ধে ঠিকাদারের সাথে যোগসাজস ও আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় ঠিকাদাররা। তাঁদের দাবি, ঢাকায় ছোটাছুটি করে যেকোনোভাবে ওই প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগ দেয়ার পাঁয়তারা চলছে। এতে একদিকে আইন লঙ্ঘিত হচ্ছে, অন্যদিকে কৃষকের কাছে যথাসময়ে বীজ পৌঁছানো নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
স্থানীয় ঠিকাদাররা জানান, একই ধরনের অনিয়মের কারণে এবার ঠাকুরগাঁও এর টেন্ডার বাতিল করে পুনঃদরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল।মেহেরপুরে একই প্রক্রিয়া অনুসরণ করা উচিত। তাঁদের আশঙ্কা, অস্বাভাবিক কম দর দেখানো প্রতিষ্ঠানের পক্ষে নির্ধারিত সময়ে সঠিকভাবে পরিবহন কার্য সম্পাদন করা সম্ভব হবে না। ফলে বোরো মৌসুমে কৃষকেরা সময়মতো বীজ নাও পেতে পারেন।
এ বিষয়ে মঙ্গলবার বিএডিসির অতিরিক্ত মহাব্যবস্থাপক (বীজ প্রক্রিয়াজাতকরণ) মোশাব্বের হোসেন বলেন, ‘কাগজপত্র এখন হাতে এসেছে, যাচাই-বাছাই শেষে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’