দর্শনা ১১:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৮ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কুলিয়ারচরে জলমহাল রক্ষা ও মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন।

  • আপডেট সময় : ১১:৫৬:৩৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ অগাস্ট ২০২৫ ১০৮ বার পড়া হয়েছে

ফারজানা আক্তার, প্রতিনিধি কুলিয়ারচর :
কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলার উছমানপুর ইউনিয়নের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের প্রতীক সরকারী খাস জলমহাল নাজিরদিঘীকে বাজিতপুর উপজেলার প্রয়াত বেলায়েত হোসেনের পুত্র মোঃ মোশারফ হোসেন ভূয়া ও জাল কাগজপত্র তৈরী করে নিজের পৈত্রিক সম্পত্তি বলে দাবী করে বিগত ২৬ আগষ্ট দুপুরে ঢাকায় একটি সংবাদ সম্মেলন করেন। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ শরীফুল আলমের নাম জড়িয়ে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশে কাল্পনিক ও মিথ্যা অভিযোগ তুলে বক্তব্য প্রদান করার প্রতিবাদে নাজিরদিঘীর লীজ গ্রহীতা ও স্থানীয় নাজিরদিঘীর গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের পক্ষ থেকে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

৩০ আগষ্ট বিকাল ৪ ঘটিকার সময় নাজিরদিঘী সরকারী জলমহাল প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত উক্ত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নাজিরদীঘির লিজ গ্রহীতা মোঃ সাদিরুজ্জমান বাছির। এ সময় এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের মাঝে উপস্থিত ছিলেন আবুবাক্কার ছিদ্দিক, নাজিরদীঘি পুকুর পাড় মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি হাজী আঃ ছাত্তার, উছমানপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবুল কাসেম, ইউনিয়ন যুব দলের সাবেক সভাপতি মো: আব্দুল কায়ুম, হাফেজ দীন ইসলাম, মজা পুকুর সমবায় সমিতির সভাপতি নূরুল আমীন, উছমানপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ আসাদ মিয়া , নূর মোহাম্মদ সহ এলাকার স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ প্রমূখ।

লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়েছে সরকারী জলমহাল নাজিরদিঘী এর সাথে শরীফুল আলমের কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। তথাপি সম্পূর্ন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে, মিথ্যা বানোয়াট ও কল্পনা প্রসূত অভিযোগ এনে ঐ মোশারফ হোসেন শরীফুল আলমের রাজনৈতিক ও সামাজিক সুনাস সুখ্যাতিকে কালিমাদীপ্ত করতে জঘন্য মিথ্যাচার করেছে। মোশারফ তার মৃত পিতার মুক্তিযোদ্ধার পরিচয় বিক্রি করে অনৈতিকভাবে সরকারী জলমহাল আত্মসাৎ করতে ঘৃন্য জালিয়াতির পথ বেছে নিয়েছে। আমরা মোশারফের দৃষ্টান্তমূল বিচার দাবী করে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। সেই সাথে সংবাদ সম্মেলনে শরীফুল আলমের নামে যে কুৎসা রটনা করা হয়েছে এর জন্য মোশারফ হোসেনকে ৭ দিনের মধ্যে প্রকাশ্য জনসম্মুখে ক্ষমা চাওয়ার আল্টিমেটাম দিয়ে বলা হয় অন্যথায় আমরা তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করতে বাধ্য হবো।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

কুলিয়ারচরে জলমহাল রক্ষা ও মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন।

আপডেট সময় : ১১:৫৬:৩৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ অগাস্ট ২০২৫

ফারজানা আক্তার, প্রতিনিধি কুলিয়ারচর :
কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলার উছমানপুর ইউনিয়নের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের প্রতীক সরকারী খাস জলমহাল নাজিরদিঘীকে বাজিতপুর উপজেলার প্রয়াত বেলায়েত হোসেনের পুত্র মোঃ মোশারফ হোসেন ভূয়া ও জাল কাগজপত্র তৈরী করে নিজের পৈত্রিক সম্পত্তি বলে দাবী করে বিগত ২৬ আগষ্ট দুপুরে ঢাকায় একটি সংবাদ সম্মেলন করেন। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ শরীফুল আলমের নাম জড়িয়ে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশে কাল্পনিক ও মিথ্যা অভিযোগ তুলে বক্তব্য প্রদান করার প্রতিবাদে নাজিরদিঘীর লীজ গ্রহীতা ও স্থানীয় নাজিরদিঘীর গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের পক্ষ থেকে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

৩০ আগষ্ট বিকাল ৪ ঘটিকার সময় নাজিরদিঘী সরকারী জলমহাল প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত উক্ত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নাজিরদীঘির লিজ গ্রহীতা মোঃ সাদিরুজ্জমান বাছির। এ সময় এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের মাঝে উপস্থিত ছিলেন আবুবাক্কার ছিদ্দিক, নাজিরদীঘি পুকুর পাড় মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি হাজী আঃ ছাত্তার, উছমানপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবুল কাসেম, ইউনিয়ন যুব দলের সাবেক সভাপতি মো: আব্দুল কায়ুম, হাফেজ দীন ইসলাম, মজা পুকুর সমবায় সমিতির সভাপতি নূরুল আমীন, উছমানপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ আসাদ মিয়া , নূর মোহাম্মদ সহ এলাকার স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ প্রমূখ।

লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়েছে সরকারী জলমহাল নাজিরদিঘী এর সাথে শরীফুল আলমের কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। তথাপি সম্পূর্ন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে, মিথ্যা বানোয়াট ও কল্পনা প্রসূত অভিযোগ এনে ঐ মোশারফ হোসেন শরীফুল আলমের রাজনৈতিক ও সামাজিক সুনাস সুখ্যাতিকে কালিমাদীপ্ত করতে জঘন্য মিথ্যাচার করেছে। মোশারফ তার মৃত পিতার মুক্তিযোদ্ধার পরিচয় বিক্রি করে অনৈতিকভাবে সরকারী জলমহাল আত্মসাৎ করতে ঘৃন্য জালিয়াতির পথ বেছে নিয়েছে। আমরা মোশারফের দৃষ্টান্তমূল বিচার দাবী করে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। সেই সাথে সংবাদ সম্মেলনে শরীফুল আলমের নামে যে কুৎসা রটনা করা হয়েছে এর জন্য মোশারফ হোসেনকে ৭ দিনের মধ্যে প্রকাশ্য জনসম্মুখে ক্ষমা চাওয়ার আল্টিমেটাম দিয়ে বলা হয় অন্যথায় আমরা তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করতে বাধ্য হবো।