দর্শনা ১০:৪২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তারেক রহমানের বিরুদ্ধে যারা কথা বলে তারা গণতন্ত্রের শত্রু মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

  • আপডেট সময় : ০৪:৩০:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫ ৩০৫ বার পড়া হয়েছে

স্টফ রিপোর্টার:-
তারেক রহমানের বিরুদ্ধে যারা কথা বলে তাদের গণতন্ত্রের শত্রু বলে আখ্যা দিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সোমবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক বিক্ষোভ মিছিলপূর্ব সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ অপপ্রচারের প্রতিবাদ এবং মিটফোর্ডে হত্যাকাণ্ড ও সারা দেশে নির্মম হত্যাকাণ্ডের ঘটনাগুলোর বিচারের দাবিতে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি যৌথভাবে এ কর্মসূচি করে।

মির্জা ফখরুল বলেন, মিটফোর্ডে ঘটনাকে কেন্দ্র করে কয়েকটি রাজনৈতিক দল, কয়েকটি চক্র দেশের রাজনীতিকে একেবারে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছে। এ চক্রান্ত নতুন নয়, এ ষড়যন্ত্র নতুন নয়। যখনই বাংলাদেশের মানুষ উঠে দাঁড়াতে চেয়েছে, মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে চেয়েছে, ঠিক সে সময়ই ষড়যন্ত্রকারীরা দেশকে আবার অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে।
তিনি অভিযোগ করেন ষড়যন্ত্রকারীরা চেষ্টা করছে বাংলাদেশে যেন নির্বাচন না হয়। মানুষ যেন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে না পারে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, অশ্লীল ভাষায়, কুরুচিপূর্ণভাবে আমার নেতা তারেক রহমান সম্পর্কে তারা কথা বলেছে, স্লোগান দিয়েছে। তারা ভেবেছিল- কথাগুলো বললে, স্লোগান দিলে বিএনপি বোধহয় ঘরের মধ্যে ঢুকে যাবে। বিএনপি বারবার সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে, সব আঘাত প্রতিহত করে উঠে দাঁড়িয়েছে, বিএনপি হচ্ছে ফিনিক্স পাখির দল।
তিনি বলেন, তারেক রহমান যখন এই রাষ্ট্রকে টেনে উপরে তোলার জন্য, খাওয়া-দাওয়া ভাতের ব্যবস্থা করার জন্য, লক্ষ বেকারের কর্মসংস্থানের জন্য সব বিজ্ঞ লোকদের সঙ্গে কথা বলছেন, পরিকল্পনা তৈরি করছেন- ঠিক সে সময় তারা আঘাত করছে।

চক্রান্তকারীদের পরিকল্পনাটা অত্যন্ত ভয়াবহ উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, তাদের লক্ষ্য- বাংলাদেশে আবার একটা অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করা, অস্থিরতা তৈরি করা, বিভাজন সৃষ্টি করা- যেখানে গণতন্ত্রের আবার কবর রচিত হবে। তিনি বলেন, ভয়াবহ ফ্যাসিস্টকে দেশ থেকে বিতাড়িত করেছে ছাত্র-জনতা, ফিরিয়ে আনার জন্য নয়। পরিষ্কার ঘোষণা- আমরা যেভাবে ফ্যাসিস্টকে বিতাড়িত করতে পেরেছি, ঠিক সেভাবেই কোনো দিন যেন আবার ফ্যাসিস্ট চালু হতে না পারে- জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা তার ব্যবস্থা অবশ্যই করব।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

তারেক রহমানের বিরুদ্ধে যারা কথা বলে তারা গণতন্ত্রের শত্রু মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আপডেট সময় : ০৪:৩০:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫

স্টফ রিপোর্টার:-
তারেক রহমানের বিরুদ্ধে যারা কথা বলে তাদের গণতন্ত্রের শত্রু বলে আখ্যা দিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সোমবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক বিক্ষোভ মিছিলপূর্ব সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ অপপ্রচারের প্রতিবাদ এবং মিটফোর্ডে হত্যাকাণ্ড ও সারা দেশে নির্মম হত্যাকাণ্ডের ঘটনাগুলোর বিচারের দাবিতে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি যৌথভাবে এ কর্মসূচি করে।

মির্জা ফখরুল বলেন, মিটফোর্ডে ঘটনাকে কেন্দ্র করে কয়েকটি রাজনৈতিক দল, কয়েকটি চক্র দেশের রাজনীতিকে একেবারে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছে। এ চক্রান্ত নতুন নয়, এ ষড়যন্ত্র নতুন নয়। যখনই বাংলাদেশের মানুষ উঠে দাঁড়াতে চেয়েছে, মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে চেয়েছে, ঠিক সে সময়ই ষড়যন্ত্রকারীরা দেশকে আবার অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে।
তিনি অভিযোগ করেন ষড়যন্ত্রকারীরা চেষ্টা করছে বাংলাদেশে যেন নির্বাচন না হয়। মানুষ যেন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে না পারে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, অশ্লীল ভাষায়, কুরুচিপূর্ণভাবে আমার নেতা তারেক রহমান সম্পর্কে তারা কথা বলেছে, স্লোগান দিয়েছে। তারা ভেবেছিল- কথাগুলো বললে, স্লোগান দিলে বিএনপি বোধহয় ঘরের মধ্যে ঢুকে যাবে। বিএনপি বারবার সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে, সব আঘাত প্রতিহত করে উঠে দাঁড়িয়েছে, বিএনপি হচ্ছে ফিনিক্স পাখির দল।
তিনি বলেন, তারেক রহমান যখন এই রাষ্ট্রকে টেনে উপরে তোলার জন্য, খাওয়া-দাওয়া ভাতের ব্যবস্থা করার জন্য, লক্ষ বেকারের কর্মসংস্থানের জন্য সব বিজ্ঞ লোকদের সঙ্গে কথা বলছেন, পরিকল্পনা তৈরি করছেন- ঠিক সে সময় তারা আঘাত করছে।

চক্রান্তকারীদের পরিকল্পনাটা অত্যন্ত ভয়াবহ উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, তাদের লক্ষ্য- বাংলাদেশে আবার একটা অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করা, অস্থিরতা তৈরি করা, বিভাজন সৃষ্টি করা- যেখানে গণতন্ত্রের আবার কবর রচিত হবে। তিনি বলেন, ভয়াবহ ফ্যাসিস্টকে দেশ থেকে বিতাড়িত করেছে ছাত্র-জনতা, ফিরিয়ে আনার জন্য নয়। পরিষ্কার ঘোষণা- আমরা যেভাবে ফ্যাসিস্টকে বিতাড়িত করতে পেরেছি, ঠিক সেভাবেই কোনো দিন যেন আবার ফ্যাসিস্ট চালু হতে না পারে- জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা তার ব্যবস্থা অবশ্যই করব।